জেলা পরিষদ খুলনা ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়,৩১ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে প্রতিবছরের ন্যায় খুলনা জেলা পরিষদ ১৪ টি খেয়া ঘাটের দরপত্র আহবান করে। এর মধ্যে নগর ঘাট/রেলিগেট খেয়াঘাট বাৎসরিক ১৮ লক্ষ ৫৩ হাজার ১৬ টাকা, বার্মাশীল খেয়াঘাট ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা,দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাট ৪৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সম্ভাব্য দরপত্র আহ্বান করে । সব মিলিয়ে নগরঘাট খেয়া ঘাট, বার্মাশীল খেয়া ঘাট ও দৌলতপুর খেয়া ঘাটের ইজারা মূল্য দাঁড়ায় ৭৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ১৬ টাকা এবং ২৫% ভ্যাট আয়কর সহ ইজারা মূল্য দাঁড়ায় ৯২ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৭০ টাকা। যা মাসে দাঁড়ায় ৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা । জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ঘাট ৩ টির দখলে যায় বিআইডব্লিউটিএ খুলনা এবং স্পট টেন্ডারের মাধ্যমে ঐ ঘাট ৩ টি মাত্র ৩০ হাজার টাকা এবং ভ্যাট আয়কর সহ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা মাসিক ইজারা মূল্যে শেখ আলী আকবর কে ইজারা প্রদান করে। অদ্যবধি একই ইজারা মূল্যে বিআইডব্লিউটিএ প্রতি মাসে শেখ আলী আকবর কে ইজারা দিয়ে আসছে। যার কারণে প্রতি মাসে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় ৭ লক্ষ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা।
সেই হিসাবে বিগত ৬ মাসে বিআইডব্লিউটিএর মাধ্যমে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা। সংশ্লিষ্ট ঘাট গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই সকল ঘাটে যখন জেলা পরিষদ টোল আদায় করত তখন জনপ্রতি টোলের হার ছিল ১ টাকা। বিআইডব্লিউটিএর ইজারাদার জনপ্রতি আদায় করছে ২ টাকা। আদায় দ্বিগুন হলেও সরকারি কোষাগারে জমা পড়ছে নামমাত্র টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ বিআইডব্লিউটিএর সাথে জোগসাজেসে ইজারাদার ৬ মাসে নামমাত্র ইজারা দিয়ে আয় করেছে প্রায় কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক মাসুদ পারভেজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি আমার পরিচালক মহোদয় কে জানিয়েছি আশা করছি খুব দ্রুত ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ঘাটগুলো ইজারা দিতে পারব।