ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কুঞ্জ পট্টি গ্রামের সংখ্যালঘু একটি হিন্দু পরিবারকে দীর্ঘ সময় ধরে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাসেম খান ও তার ছেলে জসিম খান অবরুদ্ধ করে রেখে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করে আসছে। তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকবার হর লাল শীল এর বসত ঘরে হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে এই বাপ ছেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হর লাল শীলের বসতঘরের উপরে একটি মোটা রেন্ডি গাছ হেলে পড়ে আছে। গাছ টি যেকোনো সময়েই তার বসত ঘরের উপর পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটন ঘটতে পারে।
ভুক্তভোগী হর লাল শীল অভিযোগ করে বলেন, স্ত্রী সন্তান নিয়ে নিরাপদে থাকার জন্য গাছটি কেটে ঘরের উপর থেকে সরানোর জন্য উদ্যোগ নিলে অভিযুক্ত হাসেম খান ও তার ছেলে জসিম খান বাধা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। তাদেরকে একাধিকবার বুঝিয়ে বলার পরও তারা কোনভাবে তা মানতে রাজি নয়। উল্টো কেন আমরা গাছ কাটতে গিয়েছে তার জন্য আমার স্ত্রী ও ছোট ছোট সন্তানদের গায়ে হাত তুলেন জসিম খান। আমার স্ত্রী কে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকবার তাকে আঘাত করে জসিম খান।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে হর লাল শীল জয়নাল গাজী গংদের থেকে ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় মূল্যে মালিক থাকিয়া বসবাস করে আসছে।এখন পর্যন্ত হরলাল শীলের পরিবার এই জমিতে বসবাস করছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ এর বর্ষীয় নেতা তোফায়েল আহমেদ ও সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বাবা বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে একাধিক গান কবিতা ও ছড়া লিখে নিজেকে অনেক বড় আওয়ামী লীগ দাবি করে। তৎকালীন সময়ে দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সংখ্যালঘু হর লাল শীলের বসতঘর ও এর আশপাশে তার ক্রয়িকৃত জমি হাসেম খান তার নিজের বলে দাবি করে হর লাল শীলের পরিবার এর চলাচল বন্ধ করে দেয়। এখন একটি গাছ হর লাল শীলের ঘরের উপর পরে ঘরটি ভেঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা তৈরি হয়। তাই আমরা এলাকার সবাই মিলে বলেছিলাম হরলাল শীলের ঘরের উপর থেকে গাছটি কেটে সরিয়ে ফেলার জন্য। কিন্তু হাসেম খান ও তার ছেলে জসিম খান কোনভাবেই তা মানছে না। উল্টো এলাকার সবাইকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে অভিযোজিত জসিম খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এগুলো সব আমার ক্রয় করে তো সম্পত্তি এখানে কোন গাছ গাছালি কাটা যাবে না।