ঢালাই এর সিমেন্ট ও খোয়া সামান্য বৃষ্টিতে ভেসে আখের খেতে। এভাবেই
জোড়াতালি দিয়ে নির্মিত হচ্ছে বৃষ্টির পানিতে খোয়া ভেসে আখের জমিতে যাওয়া সেই ইউড্রেনটির । এরপরও কাজ শতভাগ ভাল হচ্ছে বলে দাবি উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের। নির্মাণাধীন ইউড্রেনটি হচ্ছে কোটচাঁদপুরের পাশপাতিলা মাঠের সড়কে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ২০২৪ -২৫ অর্থ বছরে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় কোটচাঁদপুরের পাশপাতিলা মাঠের সড়কে নির্মিত হচ্ছে ইউড্রেন। যার চুক্তি মূল্য ৩ লাখ টাকা। ওই কাজের পিআইসি করা হয়েছে এলাঙ্গীর (৭,৮,৯) নাম্বার ওয়ার্ডের নারী সদস্য জরিনা খাতুনকে।
তবে কাজটি করছেন ওই ইউনিয়নের আলী হোসেন ও অমেদুল ইসলাম নামের দুই ইউপি সদস্য । কাজটি শুরু করেন গেল ২৯ মে। আর প্রথম বেজ ঢালাই হয় ৩০ মে। ওইদিনই হালকা বৃষ্টি হয়। যে বৃষ্টির পানিতে খোয়া ভেসে যায় পাশের আখের জমিতে। তারপরও জোড়াতালি দিয়ে নির্মিত হচ্ছে ইউড্রেনটি।
পথচারী আব্দুল কুদ্দুস বলেন,আগের ব্রীজটিই ভাল ছিল। এ সময় তিনি পাশে পড়ে থাকা পুরাতন ব্রীজের ইট খোয়া দেখিয়ে বলেন, এখন যা ব্যবহার করছেন, তাঁর চেয়ে আগের গুলো খুবই মজবুত ছিল। তা না হলে বেজ ঢালাইয়ের খোয়া আখের জমিতে ভেসে যায়। যেমন কাজ তেমন হচ্ছে।
এ ছাড়া নাম প্রকাশ না শর্তে অনেকে বলেন,আগের ব্রীজের শুধু মাত্র উপরের অংশ ভেঙে গিয়েছিল। আর সব কিছু খুবই মজবুত ছিল। ওইটাই যদি মেরামত করা হত, তাহলে যে কাজ হচ্ছে, তাঁর থেকে অনেক ভাল কাজ হত।
তারা বলেন, ওই ইউড্রেনের বেজ ঢালাইয়ের কাজ হয় গেল ৩০ মে তারিখ সকালে। দুপুরের পর হয় সামান্য বৃষ্টি। এতেই বেজ ঢালাইয়ের খোয়া চলে যায় আখের জমিতে। এখন সেই ইউড্রেনটি জোড়াতালি দিয়ে নির্মিত করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আলী হোসেন বলেন, কাজ খুবই ভাল হচ্ছে। তবে ওই ঢালাই দেবার পর বৃষ্টি হয়। এতে করে পানির স্রোতে হয়তো খোয়া কিছু চলে যেতে পারে। তিনি বলেন, যদি এমন ঘটনা হয়ে থাকে, তাহলে পরে ঠিক করে দেয়া হবে।
প্রকল্পের সভাপতি ও নারী ইউপি সদস্য জরিনা খাতুন বলেন, প্রকল্পের সভাপতি আমাকে করা হয়েছে। তবে মূলত কাজটি করছেন, দুই মেম্বর আলী হোসেন, অমেদুল ইসলাম ও চেয়ারম্যান। ওই কাজের কোন টাকা আপনাকে দেয়া হবে কি, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কাজ চলমান রয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার পর কি করবেন তা ওনারা জানেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন,আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তবে ওখানে গিয়ে কোন খোয়া আখের জমিতে দেখতে পেলাম না। আর কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন করলে,কাজ শতভাগ ভাল হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মোবাইল যোগাযোগ করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম সঙ্গে। তবে ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
কোটচাঁদপুর- প্রতিনিধিঃ
কোটচাঁদপুরে জোড়াতালি দিয়ে নির্মিত হচ্ছে ইউড্রেন
Tag :
জনপ্রিয়