কুমিল্লার তিতাস উপজেলার হাবাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুর মাঝখানের দুই পাশে দুটি স্তম্ভ ভেঙে গেছে। এতে সেতুটি এখন চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীসহ লক্ষাধিক মানুষ বাধ্য হয়ে এই সেতুর ওপর দিয়েই যাতায়াত করছে। যে কোনো মুহূর্তে সেতুটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দশ বছর ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
জানা গেছে, উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের কাকিয়াখালী গ্রামসংলগ্ন হাবাতিয়া নদীর ওপর প্রায় ২০ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এর নিচ দিয়ে নিয়মিত ইট ও বালুবাহী বাল্কহেড এবং মালামালবাহী ট্রলার চলাচল করে। চলাচলের সময় বাল্কহেডের ধাক্কায় মাঝের চারটি স্তম্ভের মধ্যে দুই পাশে থাকা দুটি স্তম্ভ ভেঙে গিয়ে রড বের হয়ে ঝুলে রয়েছে। অন্য কয়েকটি স্তম্ভের সিমেন্টের ঢালাই খসে রড বেরিয়ে গেছে।
বর্তমানে হালকা যানবাহন চলাচলের সময় সেতুটি কেঁপে ওঠে। এ অবস্থায় ১০–১২টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ও শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে।
স্থানীয়দের দাবি, যেকোনো বড় দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে এর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধ করা হোক এবং দ্রুত একটি নতুন সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।