বিশেষ প্রতিনিধি,কুমিল্লা : কুমিল্লায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। এই সময় যৌথবাহিনী হায়দার ও পিনু মির্জা নামের ওই দুই অস্ত্র ব্যবসায়ী থেকে চারটি শট’গান উদ্ধার করে।সেনাবাহিনীর সূত্র জানায়, এ অস্ত্র ব্যবসায়ীরা উল্লেখিত ছদ্মনাম ব্যবহার করে অবৈধ ব্যবসা নিয়োজিত ছিল। ২২ জুলাই ভোর রাত ৩টা থেকে ভোর পর্যন্ত যৌথ বাহিনী কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতার কৃতরা হলো- কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার মুরাদপুর এলাকার আবু হায়দার( ৪০) ও নুরপুর এলাকার মজিবর রহমান (৩৮)মজিবরের ছদ্মনাম পিনু মির্জা।
অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে শর্টগান ৪টি, বিদেশি চাকু ১টি, ছেনি ১টি, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ২টি, বাটন ফোন ২টি পাসপোর্ট ১টি, এলজির কার্তুজ ১টি উদ্ধার করা হয়।
যৌথ বাহিনী সূত্রে জানা যায়, অল্প পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হলেও গোয়েন্দা তথ্য ও মোবাইল ফরেনসিক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। প্রাথমিক অডিও বিশ্লেষণে জানা যায়, পেনু মির্জা ৭.৬৫ এমএম পিস্তল এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করতেন। এছাড়া হায়দার আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করতেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।
এই দুই অস্ত্র ব্যবসায়ী এখন পর্যন্ত চারটি আগ্নেয়াস্ত্র বহনের প্রমাণসহ ধরা পড়লেও তাদের চ্যানেলে দুটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল লেনদেন হয়েছে। এমন তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে।
এছাড়া, অপরাধ জগতে ছদ্মনাম ব্যবহারের প্রবণতাও এই অভিযানের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, যেমন পেনু মির্জা নামটি। মূল পরিচয় গোপন রাখতে এটি ব্যবহৃত হতো। নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী (২৩ বীর) ও র্যাব-১১-এর যৌথ অভিযান ধারাবাহিকভাবে ফলপ্রসূ প্রমাণিত হচ্ছে বলে জানায় যৌথ বাহিনী।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, যৌথ বাহিনী আসামিদের থানায় হস্তান্তর করার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে।