০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ আমির হোসেন, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী :

কালিয়াকৈরে শ্রীফলতলী ইউপির মেম্বার কবির খান জনকল্যাণের এক নিবেদিত প্রাণ

  • প্রকাশিত ০৫:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ৩০ বার দেখা হয়েছে

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ৫ নং শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ কবির খান শুধু একটি পদাধিকারী নাম নন, তিনি আপামর জনসাধারণের হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত এক বিশ্বাস ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা, হাসি-কান্না—সবকিছুর অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তিনি কেবল একজন নির্বাচিত প্রতিনিধিই নন, বরং সংকটে আশার আলো এবং নির্ভরতার এক মজবুত স্তম্ভ।
দীর্ঘ এবং কর্মমুখর রাজনৈতিক জীবনে মেম্বার কবির খান তাঁর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করেছেন। গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কৃষকদের পাশে থেকেছেন, তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করেছেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে এলাকার বিদ্যালয়গুলোর পরিকাঠামো উন্নয়নে তাঁর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ পর্যন্ত—সব ক্ষেত্রেই তিনি আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবার প্রসারেও তিনি পিছিয়ে থাকেননি। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর উন্নয়নে তিনি নিয়মিত তদারকি করেন এবং সাধারণ মানুষ যাতে সহজে স্বাস্থ্যসেবা পায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন একটি জনপদের বিকাশের অপরিহার্য শর্ত। এই উপলব্ধি থেকে মেম্বার কবির খান গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কারে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ অনেক দুর্গম এলাকাতেও সহজে যাতায়াত করা সম্ভব হয়েছে, যা স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মানুষের জীবনযাত্রাকে নতুন গতি দিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির বাস্তবায়নে তিনি অত্যন্ত সতর্ক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন, যাতে প্রকৃত অভাবী মানুষ সরকারের সাহায্য পায় এবং কোনো ধরনের দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির সুযোগ না থাকে।
শুধু উন্নয়নমূলক কাজই নয়, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও মেম্বার কবির খানের অবদান অনস্বীকার্য। এলাকায় কোনো সামাজিক বিরোধ দেখা দিলে তিনি নিরপেক্ষভাবে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনেন এবং সালিশ-বিচারের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহযোগিতা করেন। তাঁর বিচক্ষণতা ও ন্যায়পরায়ণতার কারণে এলাকার মানুষজন তাঁকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখে।স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুল মালেক বলেন, “কবির আমাদের ঘরের ছেলে। যখনই কোনো সমস্যা নিয়ে গিয়েছি, তিনি কখনও ফিরিয়ে দেননি। নিজের কাজ ফেলে আমাদের জন্য সময় বের করেছেন। এমন মানুষ আজকাল পাওয়া ভার।”আরেকজন তরুণ বাসিন্দা রহিমা বেগম জানান, “মেম্বার সাহেব সবসময় আমাদের খোঁজখবর রাখেন। মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে তিনি বিশেষভাবে উৎসাহিত করেন। আমাদের এলাকায় বাল্যবিবাহ রোধে তিনি অনেক সচেতনতামূলক কাজ করেছেন।”
শ্রীফলতলী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের জনগণ মনে করেন, মেম্বার কবির খানের মতো একজন নিঃস্বার্থ ও জনদরদী প্রতিনিধি তাদের জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদস্বরূপ। তাঁরা বিশ্বাস করেন, আগামীতেও তিনি একই উদ্যম, সততা ও আন্তরিকতার সাথে জনগণের সেবা করে যাবেন। কবির খানের প্রতি এই অগাধ আস্থা ও প্রগাঢ় ভালোবাসা দীর্ঘদিনের কর্মনিষ্ঠা, জনগণের প্রতি গভীর মমত্ববোধ এবং নিঃস্বার্থ জনকল্যাণমুখী কাজেরই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কবির খান সত্যিই শ্রীফলতলীর মানুষের নির্ভরতার বাতিঘর। কবির খানের একটাই বক্তব্য এলাকার মানুষ আমার পাশে থাকলে যতদিন বেঁচে আছি তাদের জন্য কাজ করে যাব নিঃস্বার্থে আমার প্রতিজ্ঞা।

Tag :
জনপ্রিয়

১৯জুলাই’২৫ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে তেজগাঁও থানা দক্ষিণ জামায়তের স্বাগত মিছিল।

মোঃ আমির হোসেন, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী :

কালিয়াকৈরে শ্রীফলতলী ইউপির মেম্বার কবির খান জনকল্যাণের এক নিবেদিত প্রাণ

প্রকাশিত ০৫:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ৫ নং শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ কবির খান শুধু একটি পদাধিকারী নাম নন, তিনি আপামর জনসাধারণের হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত এক বিশ্বাস ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা, হাসি-কান্না—সবকিছুর অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তিনি কেবল একজন নির্বাচিত প্রতিনিধিই নন, বরং সংকটে আশার আলো এবং নির্ভরতার এক মজবুত স্তম্ভ।
দীর্ঘ এবং কর্মমুখর রাজনৈতিক জীবনে মেম্বার কবির খান তাঁর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করেছেন। গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কৃষকদের পাশে থেকেছেন, তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করেছেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে এলাকার বিদ্যালয়গুলোর পরিকাঠামো উন্নয়নে তাঁর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ পর্যন্ত—সব ক্ষেত্রেই তিনি আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবার প্রসারেও তিনি পিছিয়ে থাকেননি। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর উন্নয়নে তিনি নিয়মিত তদারকি করেন এবং সাধারণ মানুষ যাতে সহজে স্বাস্থ্যসেবা পায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন একটি জনপদের বিকাশের অপরিহার্য শর্ত। এই উপলব্ধি থেকে মেম্বার কবির খান গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কারে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ অনেক দুর্গম এলাকাতেও সহজে যাতায়াত করা সম্ভব হয়েছে, যা স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মানুষের জীবনযাত্রাকে নতুন গতি দিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির বাস্তবায়নে তিনি অত্যন্ত সতর্ক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন, যাতে প্রকৃত অভাবী মানুষ সরকারের সাহায্য পায় এবং কোনো ধরনের দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির সুযোগ না থাকে।
শুধু উন্নয়নমূলক কাজই নয়, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও মেম্বার কবির খানের অবদান অনস্বীকার্য। এলাকায় কোনো সামাজিক বিরোধ দেখা দিলে তিনি নিরপেক্ষভাবে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনেন এবং সালিশ-বিচারের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহযোগিতা করেন। তাঁর বিচক্ষণতা ও ন্যায়পরায়ণতার কারণে এলাকার মানুষজন তাঁকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখে।স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুল মালেক বলেন, “কবির আমাদের ঘরের ছেলে। যখনই কোনো সমস্যা নিয়ে গিয়েছি, তিনি কখনও ফিরিয়ে দেননি। নিজের কাজ ফেলে আমাদের জন্য সময় বের করেছেন। এমন মানুষ আজকাল পাওয়া ভার।”আরেকজন তরুণ বাসিন্দা রহিমা বেগম জানান, “মেম্বার সাহেব সবসময় আমাদের খোঁজখবর রাখেন। মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে তিনি বিশেষভাবে উৎসাহিত করেন। আমাদের এলাকায় বাল্যবিবাহ রোধে তিনি অনেক সচেতনতামূলক কাজ করেছেন।”
শ্রীফলতলী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের জনগণ মনে করেন, মেম্বার কবির খানের মতো একজন নিঃস্বার্থ ও জনদরদী প্রতিনিধি তাদের জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদস্বরূপ। তাঁরা বিশ্বাস করেন, আগামীতেও তিনি একই উদ্যম, সততা ও আন্তরিকতার সাথে জনগণের সেবা করে যাবেন। কবির খানের প্রতি এই অগাধ আস্থা ও প্রগাঢ় ভালোবাসা দীর্ঘদিনের কর্মনিষ্ঠা, জনগণের প্রতি গভীর মমত্ববোধ এবং নিঃস্বার্থ জনকল্যাণমুখী কাজেরই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কবির খান সত্যিই শ্রীফলতলীর মানুষের নির্ভরতার বাতিঘর। কবির খানের একটাই বক্তব্য এলাকার মানুষ আমার পাশে থাকলে যতদিন বেঁচে আছি তাদের জন্য কাজ করে যাব নিঃস্বার্থে আমার প্রতিজ্ঞা।