১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কালাই থেকে লিটন তালুকদার :

কালাইয়ে ইট বিছানো রাস্তা খুঁরে ঠিকাদার উধাও, এলাকাবাসীর চরম দূর্ভোগ

  • প্রকাশিত ০৩:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ৮৪ বার দেখা হয়েছে

জয়পুরহাট কালাইয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে ইট বিছানো রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রেখে উধাও হয়ে গেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার লোকজন। ‘উন্নয়নের আশ্বাসে’ শুরু হওয়া এই প্রকল্প বর্তমানে প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে উপজেলার পার্বতীপুর-শিবসমুদ্র জনসাধারণের রাস্তা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এলজিইডি জয়পুরহাটের বাস্তবায়নে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কের উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ইজিপি টেন্ডারের মাধ্যমে ৫৩ লাখ ৬১ হাজার ৩২৪ টাকায় মেসার্স আমান ট্রেডিং নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২০ আগষ্ট এর মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও পরে আবার কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে কাজ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমান ট্রেডিং ২ হাজার ২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পার্বতীপুর-শিবসমুদ্র ইট বিছানো রাস্তার ইট তুলে অর্ধ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু করেন। রাস্তা মাটি খুঁড়ে রাখার কারণে কোন পণ্য বহনে দ্বিগুণেরও বেশি ভারা গুনতে হচ্ছে কৃষক ও সাধারণ মানুষদের । আর একটু বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তা দিয়ে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পডছে। ঠিকাদার পলাতক এবং এলজিইডি কর্মকর্তাদের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।
পার্বতীপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জল,ইউসুব জাহেদুল ছোহরাব, ছানা,ছামছুলসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানায়, তাদের ইট বিছানো রাস্তাটি কাজের জন্য খোঁড়া হলে রাস্তার মাঝখানের মাটিগুলো উভয় পার্শ্বে রাখার ফলে রাস্তাটি ড্রেনের মত পরিনত হয়। এ কারণে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় রাস্তা দিয়ে চলাচলের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
তারা আরো জানান, ঠিকাদার এবং এলজিইডি কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও দুর্নীতির কারণে উন্নয়নের নামে রাস্তাটি খুঁড়ে রাখার ফলে তাদের সীমাহীন কষ্ট করতে হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমান ট্রেডিং এর ম্যানেজার আজিজুল হক বলেন, রাস্তাটি নিয়ে অফিসিয়ালি সমস্যা ছিলো। এক সপ্তাহের মত হলো সমস্যার সমাধান হয়েছে। ঈদের পরপরই কাজ শুরু করবো।
কালাই উপজেলা প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটির চেইনেজ সমস্যার কারনে বিলম্বিত হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য উর্ধতন কর্মকর্তার মাধ্যমে ফাইল ঢাকায় পাঠিয়েছি। আশা রাখছি খুব দ্রত সমাধান হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

একরাম হত্যা মামলা পুনঃ তদন্তের দাবীতে মানববন্ধন

কালাই থেকে লিটন তালুকদার :

কালাইয়ে ইট বিছানো রাস্তা খুঁরে ঠিকাদার উধাও, এলাকাবাসীর চরম দূর্ভোগ

প্রকাশিত ০৩:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

জয়পুরহাট কালাইয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে ইট বিছানো রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রেখে উধাও হয়ে গেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার লোকজন। ‘উন্নয়নের আশ্বাসে’ শুরু হওয়া এই প্রকল্প বর্তমানে প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে উপজেলার পার্বতীপুর-শিবসমুদ্র জনসাধারণের রাস্তা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এলজিইডি জয়পুরহাটের বাস্তবায়নে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কের উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ইজিপি টেন্ডারের মাধ্যমে ৫৩ লাখ ৬১ হাজার ৩২৪ টাকায় মেসার্স আমান ট্রেডিং নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২০ আগষ্ট এর মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও পরে আবার কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে কাজ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমান ট্রেডিং ২ হাজার ২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পার্বতীপুর-শিবসমুদ্র ইট বিছানো রাস্তার ইট তুলে অর্ধ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু করেন। রাস্তা মাটি খুঁড়ে রাখার কারণে কোন পণ্য বহনে দ্বিগুণেরও বেশি ভারা গুনতে হচ্ছে কৃষক ও সাধারণ মানুষদের । আর একটু বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তা দিয়ে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পডছে। ঠিকাদার পলাতক এবং এলজিইডি কর্মকর্তাদের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।
পার্বতীপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জল,ইউসুব জাহেদুল ছোহরাব, ছানা,ছামছুলসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানায়, তাদের ইট বিছানো রাস্তাটি কাজের জন্য খোঁড়া হলে রাস্তার মাঝখানের মাটিগুলো উভয় পার্শ্বে রাখার ফলে রাস্তাটি ড্রেনের মত পরিনত হয়। এ কারণে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় রাস্তা দিয়ে চলাচলের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
তারা আরো জানান, ঠিকাদার এবং এলজিইডি কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও দুর্নীতির কারণে উন্নয়নের নামে রাস্তাটি খুঁড়ে রাখার ফলে তাদের সীমাহীন কষ্ট করতে হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমান ট্রেডিং এর ম্যানেজার আজিজুল হক বলেন, রাস্তাটি নিয়ে অফিসিয়ালি সমস্যা ছিলো। এক সপ্তাহের মত হলো সমস্যার সমাধান হয়েছে। ঈদের পরপরই কাজ শুরু করবো।
কালাই উপজেলা প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটির চেইনেজ সমস্যার কারনে বিলম্বিত হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য উর্ধতন কর্মকর্তার মাধ্যমে ফাইল ঢাকায় পাঠিয়েছি। আশা রাখছি খুব দ্রত সমাধান হবে।