০৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কার্লব এর সাবেক চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন এর নেতৃত্ব চলছে হরিলুট সমরায় অধিদপ্তর নিরবতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ ক্ষৃষ্টান সম্প্রদায়ের

  • প্রকাশিত ১০:০৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৭ বার দেখা হয়েছে

বিগত সময়ে কার্লব এর সাবেক চেয়ারম্যান আগষ্টীন পিউরিফিকেশন এর নেতৃত্ব চলছে হরিলুট। ভুয়া বিল ভাও চারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
তার দুনীতির কারণে এখন ধংশের দার প্রান্তে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি। সুত্র যানা যায়
দি কো-অপারেটিড ক্রেডিট ইউনিয়নলীগ অব বাংলাদেশ লিঃ( কার্লব) এর বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম দুনীতি অভিযোগ এনে গত ১৭/৬/২৫ তারিখে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল্লাহ সরকার। অভিযোগ এর পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালক অতিরিক্ত নিবন্ধক সমিতি শাখাকে ব্যবস্হা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করলে অতিরিক্ত নিবন্ধক সমিতি. যুগ্ম নিবন্ধক কে গত ২২/৬/২৫ তারিখে ১১৬৪ স্মারকে তদন্তে নির্দেশ প্রদান করলে যুগ্ম নিবন্ধক আইন শাখায় অভিযোগ এর বিষয়ে মতামত প্রেরণ করার জন্য নির্দেশনা দেন। আইন শাখা তাদের মতামত প্রেরণ করলে অদৃশ্য শক্তির কারণে অভিযোগ এর বিষয় ধামাচাপা পরে আছে। আজ-ও পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি আতিকুল্লাহ সরকার এর অভিযোগের বিষয়ে।

অভিযোগ সুত্রে যানা যায়
কালব-এর গত ২০২০-২০২২ মেয়াদের ব্যবস্থাপনা কমিটির সময়কালের সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। কালব রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন হলের উন্নয়নের নামে ১৪ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন নিয়ে মাত্র ২-৩ কোটি টাকার কাজ করা,বাকী সমূদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিগত সময়ে থাকা কমিটির কর্তা ব্যাক্তীগন। কালব রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন হলের জমি ক্রয়ের নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে ,গত নির্বাচনে কালব-এর সম্মানিত ডেলিগেটদের ব্যক্তিগত খরচে আবাসনের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রিসোর্ট-এর রুম ভাড়া নিয়ে বিল পরিশোধ না করা, কালব রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন হলকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন।কালব রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন হলের বারের লাইসেন্স বাবদ কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ, এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি কনসোর্টিয়াম প্রকল্পে বিনিয়োগের নামে অর্থ আত্মসাৎ, বর্তমান মেয়াদে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ না পাওয়ায় এবং উপরোক্ত দুর্নীতির বিষয়ে সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক সমবায় সমিতি আইন-২০০১ (সংশোধিত-২০০২ ও ২০১৩)-এর ৪৮ ধারার পরিদর্শন প্রতিবেদনের আলোকে একই আইনের ৪৯ ধারায় তদন্ত হলে সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রকাশ হয়ে যেতে পারে এমন আশংকায় দুর্নীতি ও অর্থ লোপাটের বিষয়গুলো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার কুটকৌশলে ২০২২-২০২৫ মেয়াদের ব্যবস্থাপনা কমিটির ৭ (সাত) জন সদস্য যারা গত ২০২০-২০২২ মেয়াদেও দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা পদত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য যে, সমবায় সমিতি আইন-২০০১ (সংশোধিত-২০০২ ও ২০১৩)-এর ৪৮ ধারার আলোকে পরিদর্শনের জন্য গঠিত ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট উপ-কমিটি গত ২৫/০১/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিবেদন দাখিল করলেও প্রায় ১৭ মাস পরে প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ৪৯ ধারায় তদন্তের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। গত ১২ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে কালব রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত সদস্য ক্রেডিট ইউনিয়নের ডেলিগেটদের সাথে কালব ব্যবস্থাপনা কমিটির পরামর্শমূলক আলোচনা সভায় কালব চেয়ারম্যান এ বিষয়টি ডেলিগেটদেরকে অবহিত করলে সমবায় সমিতি আইন-২০০১ (সংশোধিত-২০০২ ও ২০১৩)-এর ৪৮ ধারার পরিদর্শন প্রতিবেদনের আলোকে একই আইনের ৪৯ ধারায় তদন্তের বিষয়ে সমবায় অধিদপ্তরে আবেদন করার জন্য ডেলিগেটদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা কমিটিতে পরামর্শ দেওয়া হয়। উক্ত পরামর্শ মোতাবেক আলোচনা সভার কার্যবিবরণী, কালব-এর অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটির প্রতিবেদন, ৪৮ ধারার আলোকে সমবায় অধিদপ্তরের পরিদর্শন প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ডেলিগেটদের দাবী অনুযায়ী সমবায় সমিতি আইন-২০০১ (সংশোধিত-২০০২ ও ২০১৩)-এর ৪৮ ধারার পরিদর্শন প্রতিবেদনের আলোকে একই আইনের ৪৯ ধারায় তদন্তের জন্য সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন করা হয়েছিল।
একইসাথে সমবায় সমিতি আইন-২০০১ (সংশোধিত-২০০২ ও ২০১৩)-এর ৪৯ ধারার আলোকে তদন্ত করা সম্ভব না হলে, কী কারণে তদন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না সমবায় অধিদপ্তর থেকে সে বিষয়টি কালব-কে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সমবায় অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি কালব-কে অবহিত করা হলে কালব-এর পক্ষ থেকে তা ডেলিগেটদেরকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। বিগত ২০২০ হয়তে ২০২২ সাল পর্যন্ত লুটপাট ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অত্র প্রতিষ্ঠানের বর্তমান একাধিক কর্মকর্তা রা আজকের সংবাদ কে জানান। সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিরব ভূমিকা এখন প্রশ্ন বিদ্ধ। তারা দুরতম সময় অভিযোগ এর তদন্ত করে সমাধান নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন।

Tag :
জনপ্রিয়

তারেক রহমান : আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসুরী

কার্লব এর সাবেক চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন এর নেতৃত্ব চলছে হরিলুট সমরায় অধিদপ্তর নিরবতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ ক্ষৃষ্টান সম্প্রদায়ের

প্রকাশিত ১০:০৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

বিগত সময়ে কার্লব এর সাবেক চেয়ারম্যান আগষ্টীন পিউরিফিকেশন এর নেতৃত্ব চলছে হরিলুট। ভুয়া বিল ভাও চারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
তার দুনীতির কারণে এখন ধংশের দার প্রান্তে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি। সুত্র যানা যায়
দি কো-অপারেটিড ক্রেডিট ইউনিয়নলীগ অব বাংলাদেশ লিঃ( কার্লব) এর বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম দুনীতি অভিযোগ এনে গত ১৭/৬/২৫ তারিখে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল্লাহ সরকার। অভিযোগ এর পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালক অতিরিক্ত নিবন্ধক সমিতি শাখাকে ব্যবস্হা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করলে অতিরিক্ত নিবন্ধক সমিতি. যুগ্ম নিবন্ধক কে গত ২২/৬/২৫ তারিখে ১১৬৪ স্মারকে তদন্তে নির্দেশ প্রদান করলে যুগ্ম নিবন্ধক আইন শাখায় অভিযোগ এর বিষয়ে মতামত প্রেরণ করার জন্য নির্দেশনা দেন। আইন শাখা তাদের মতামত প্রেরণ করলে অদৃশ্য শক্তির কারণে অভিযোগ এর বিষয় ধামাচাপা পরে আছে। আজ-ও পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি আতিকুল্লাহ সরকার এর অভিযোগের বিষয়ে।

অভিযোগ সুত্রে যানা যায়
কালব-এর গত ২০২০-২০২২ মেয়াদের ব্যবস্থাপনা কমিটির সময়কালের সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। কালব রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন হলের উন্নয়নের নামে ১৪ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন নিয়ে মাত্র ২-৩ কোটি টাকার কাজ করা,বাকী সমূদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিগত সময়ে থাকা কমিটির কর্তা ব্যাক্তীগন। কালব রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন হলের জমি ক্রয়ের নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে ,গত নির্বাচনে কালব-এর সম্মানিত ডেলিগেটদের ব্যক্তিগত খরচে আবাসনের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রিসোর্ট-এর রুম ভাড়া নিয়ে বিল পরিশোধ না করা, কালব রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন হলকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন।কালব রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন হলের বারের লাইসেন্স বাবদ কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ, এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি কনসোর্টিয়াম প্রকল্পে বিনিয়োগের নামে অর্থ আত্মসাৎ, বর্তমান মেয়াদে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ না পাওয়ায় এবং উপরোক্ত দুর্নীতির বিষয়ে সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক সমবায় সমিতি আইন-২০০১ (সংশোধিত-২০০২ ও ২০১৩)-এর ৪৮ ধারার পরিদর্শন প্রতিবেদনের আলোকে একই আইনের ৪৯ ধারায় তদন্ত হলে সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রকাশ হয়ে যেতে পারে এমন আশংকায় দুর্নীতি ও অর্থ লোপাটের বিষয়গুলো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার কুটকৌশলে ২০২২-২০২৫ মেয়াদের ব্যবস্থাপনা কমিটির ৭ (সাত) জন সদস্য যারা গত ২০২০-২০২২ মেয়াদেও দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা পদত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য যে, সমবায় সমিতি আইন-২০০১ (সংশোধিত-২০০২ ও ২০১৩)-এর ৪৮ ধারার আলোকে পরিদর্শনের জন্য গঠিত ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট উপ-কমিটি গত ২৫/০১/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিবেদন দাখিল করলেও প্রায় ১৭ মাস পরে প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ৪৯ ধারায় তদন্তের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। গত ১২ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে কালব রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত সদস্য ক্রেডিট ইউনিয়নের ডেলিগেটদের সাথে কালব ব্যবস্থাপনা কমিটির পরামর্শমূলক আলোচনা সভায় কালব চেয়ারম্যান এ বিষয়টি ডেলিগেটদেরকে অবহিত করলে সমবায় সমিতি আইন-২০০১ (সংশোধিত-২০০২ ও ২০১৩)-এর ৪৮ ধারার পরিদর্শন প্রতিবেদনের আলোকে একই আইনের ৪৯ ধারায় তদন্তের বিষয়ে সমবায় অধিদপ্তরে আবেদন করার জন্য ডেলিগেটদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা কমিটিতে পরামর্শ দেওয়া হয়। উক্ত পরামর্শ মোতাবেক আলোচনা সভার কার্যবিবরণী, কালব-এর অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটির প্রতিবেদন, ৪৮ ধারার আলোকে সমবায় অধিদপ্তরের পরিদর্শন প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ডেলিগেটদের দাবী অনুযায়ী সমবায় সমিতি আইন-২০০১ (সংশোধিত-২০০২ ও ২০১৩)-এর ৪৮ ধারার পরিদর্শন প্রতিবেদনের আলোকে একই আইনের ৪৯ ধারায় তদন্তের জন্য সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন করা হয়েছিল।
একইসাথে সমবায় সমিতি আইন-২০০১ (সংশোধিত-২০০২ ও ২০১৩)-এর ৪৯ ধারার আলোকে তদন্ত করা সম্ভব না হলে, কী কারণে তদন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না সমবায় অধিদপ্তর থেকে সে বিষয়টি কালব-কে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সমবায় অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি কালব-কে অবহিত করা হলে কালব-এর পক্ষ থেকে তা ডেলিগেটদেরকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। বিগত ২০২০ হয়তে ২০২২ সাল পর্যন্ত লুটপাট ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অত্র প্রতিষ্ঠানের বর্তমান একাধিক কর্মকর্তা রা আজকের সংবাদ কে জানান। সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিরব ভূমিকা এখন প্রশ্ন বিদ্ধ। তারা দুরতম সময় অভিযোগ এর তদন্ত করে সমাধান নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন।