মৌলভীবাজার জেলায় কমলগঞ্জ উপজেলা গত ১১ জুন রাতে এক জন অজ্ঞাত মহিলা কে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখা যায় , এরপর দীর্ঘ ২০ দিন রোদ-বৃষ্টি আর অমানবিক কষ্টে বারান্দার এক কোনায় পড়ে ছিল এ মহিলা বিনা চিকিৎসা হাঁটতে পারেন না, দাঁড়াতেও পারেন না, যেখানে শুয়ে ছিলেন, সেখানেই মল-মূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হতেন। খাবারের জন্য হাসপাতালে আগত রোগীদের অভিভাবকদের দিকে চেয়ে থাকতেন, কেউ কলা দিত, কেউ পাউরুটি, কেউ এক কাপ চা। তবু বাঁচার আকুতি ছিল চোখে মুখে।
এ মহিলা এ অবস্থা দেখে প্রথমে কমলগঞ্জ বার্তা সাংবাদিক মালিক মিয়া ও স্বেচ্ছাসেবী ইয়াকুব মিয়া এ মহিলাকে নিয়ে নিউজ ও সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও
ছাড়েন এ ভিডিও দেকে এর পর অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ এগিয়ে আসেন এ মহিলা কে সহযোগিতা করতে তাদের মধ্যে অন্যতম গোপালনগর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা শাহিন আহমেদ শিপনও পাশে এসে দাঁড়ান নিজ হাতে ধুয়ে দিয়েছেন লীলার গা, গোসল করিয়ে দিয়েছেন, পরিষ্কার করেছেন উনার ছাত্রদের নিয়ে, এগিয়ে আসেন নিরাপদ সড়ক চাই কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আব্দুস সালাম, মোঃ রিপন,মোঃ রাজন মিয়া,সাংবাদিক শামিম তালুকদার, রাহাদ আহমদ,রাফি আহমদ,মোঃ সাইদুল, মো সুলেমান হোসেন, আল আমিন,জুলফিকার আলী, আকিব সহ আর অন্য স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ।
এ মহিলা বিষয় এ আলাপ করে জানা যায় যে যখন মহিলা গার্ডিয়ান নাই বলে
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে বারান্দায় পড়েছিল মহিলা বিনা চিকিৎসা
এ খবর পেয়ে ছুটে আসেন হসপিটালে নিরাপদ সড়ক চাই কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আব্দুস সালাম উনি সাথে নিয়ে আসেন গরীবে ডাক্তার নামে খ্যাত ডা. এস. কে. নাহিদ, ইবনে সিনা হাসপাতালের শিশু, চর্ম ও নাক-কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ তিনি। মহিলা দেখে প্রাথমিক চিকিৎসার নির্দেশনা দেন, বলেন তাকে দ্রুত ভর্তি করতে হবে। এর পর সাংবাদিক মোঃ আব্দুস সালাম সোশ্যাল মিডিয়া একটি নিউজ করেন তা সবাই দেখে এবং বিষয়টি পুরোপুরিভাবে আরও সবাই জানতে পারে।
যখন স্বেচ্ছাসেবী বৃন্দ আলোচনা বৈঠক করেও যখন মহিলাকে ভর্তি করতে পারতেছেন না গার্জেনের অভাবে হসপিটালে তখন এর পরের দিন আবার আসেন নিরাপদ সড়ক চাই কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আব্দুস সালাম উনি অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে হসপিটাল কর্তৃপক্ষের সাথে অনেক জোরজবস্তি ও চাপ প্রয়োগ করে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে ফোনে আলাপ করে এই মহিলাকে ভর্তি করেন হসপিটালে অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে। বর্তমানে মহিলা চিকিৎসা চলতেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেস গোপালনগর হসপিটালে দেখাশুনা করতেছেন সকল স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ। আগে থেকে উনি অনেক টা ভালো আছেন।এবং মহিলা নিউজ দেখে মহিলাকে দেখতে আসেন শ্রমিক নেত্রী গীতা রানী কানু সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। অসুস্থ মহিলার সাথে আলাপ করে জানা যায় ও বিভিন্ন তথ্য নিয়ে জানা যায় যে মহিলা নাম লীলা বাউরি,ছেলের নাম রঞ্জিত বাউরী ছেলে কেরামত নগর চা বাগানে থাকে বলে জানিয়ে ছে মহিলা। বর্তমানে মহিলার দেখাশোনার জন্য লোকের প্রয়োজন এবং পূর্ণবাসন করার জন্য সহযোগিতার প্রয়োজন এ বিষয়ে সরকারি বেসরকারি ও বিত্তবানদেরকে এ মহিলাকে পূর্ণবাসনা করার জন্য সহযোগিতা দাবি জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ।