০৫:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

উলটো দিকে ঘুরতে শুরু করেছে পৃথিবীর কেন্দ্র, যা হতে পারে এর প্রভাব

  • প্রকাশিত ০৬:২৩:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৫ বার দেখা হয়েছে

সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, পৃথিবীর কেন্দ্র তার ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন করেছে। এটি বর্তমানে পৃথিবীর পৃষ্ঠের ঘূর্ণনের বিপরীত দিকে ঘুরছে। চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটির গবেষকদের এই চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছে ‘নেচার জিওসায়েন্স’ সাময়িকী।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে পৃথিবীর কেন্দ্র হঠাৎ ঘোরা বন্ধ করে দেয় এবং এরপর থেকে এটি উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ঘটনাটি স্বাভাবিক হতে পারে, কারণ পৃথিবীর কেন্দ্র প্রতি ৩৫ থেকে ৭০ বছর অন্তর তার ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন করে। এর আগে ১৯৭০ সালের দিকে এই ধরনের পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, ২০৪০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এটি আবার তার দিক পরিবর্তন করতে পারে।

মেটার নতুন চমক, উন্মুক্ত হলো ডিসপ্লে স্মার্ট গ্লাস
গবেষকরা ১৯৯৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রেকর্ড করা ভূমিকম্পের ডেটা বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। তারা মনে করছেন, কেন্দ্রের এই ঘূর্ণন পরিবর্তন সম্ভবত দিনের দৈর্ঘ্যের সামান্য পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত।

যদিও এই খবর জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, বিজ্ঞানীরা আশ্বস্ত করেছেন যে এর ফলে পৃথিবীর উপরিভাগে কোনো বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না। তাই প্রাণিকুলের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। পৃথিবীর পৃষ্ঠে বসবাসকারী মানুষ এই ঘূর্ণনের প্রভাব টের পাবে না।

সূত্র: এএফপি, সিবিএস নিউজ

Tag :
জনপ্রিয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে অনশন ভঙ্গ ১৮ তম নিবন্ধন প্রত্যাশীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

উলটো দিকে ঘুরতে শুরু করেছে পৃথিবীর কেন্দ্র, যা হতে পারে এর প্রভাব

প্রকাশিত ০৬:২৩:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, পৃথিবীর কেন্দ্র তার ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন করেছে। এটি বর্তমানে পৃথিবীর পৃষ্ঠের ঘূর্ণনের বিপরীত দিকে ঘুরছে। চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটির গবেষকদের এই চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছে ‘নেচার জিওসায়েন্স’ সাময়িকী।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে পৃথিবীর কেন্দ্র হঠাৎ ঘোরা বন্ধ করে দেয় এবং এরপর থেকে এটি উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ঘটনাটি স্বাভাবিক হতে পারে, কারণ পৃথিবীর কেন্দ্র প্রতি ৩৫ থেকে ৭০ বছর অন্তর তার ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন করে। এর আগে ১৯৭০ সালের দিকে এই ধরনের পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, ২০৪০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এটি আবার তার দিক পরিবর্তন করতে পারে।

মেটার নতুন চমক, উন্মুক্ত হলো ডিসপ্লে স্মার্ট গ্লাস
গবেষকরা ১৯৯৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রেকর্ড করা ভূমিকম্পের ডেটা বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। তারা মনে করছেন, কেন্দ্রের এই ঘূর্ণন পরিবর্তন সম্ভবত দিনের দৈর্ঘ্যের সামান্য পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত।

যদিও এই খবর জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, বিজ্ঞানীরা আশ্বস্ত করেছেন যে এর ফলে পৃথিবীর উপরিভাগে কোনো বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না। তাই প্রাণিকুলের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। পৃথিবীর পৃষ্ঠে বসবাসকারী মানুষ এই ঘূর্ণনের প্রভাব টের পাবে না।

সূত্র: এএফপি, সিবিএস নিউজ