০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেকঃ

উন্নয়নের অনুঘটক হিসেবে এনজিও’র অবদান বহুমাত্রিক। এডাব আয়োজিত “সরকারি-বেসরকারিসমন্বয় জোরদারকরণ” শীর্ষক মত বিনিময় সভায় আলোকচরা

  • প্রকাশিত ০৬:৩৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৮৮ বার দেখা হয়েছে

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫তারিখে বাংলাদেশে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমূহের সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান এডাব (এসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ) ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজনে “সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় জোরদারকরণ ”শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (নিবন্ধন) জনাব আইয়ুব খান।এডাব ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাজী বেবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন অফিসার জনাব নাসির, জেসমিন সুলতানা পারু, প্রধান নির্বাহী, ইলমা, চট্টগ্রাম; মোঃ রবিউল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক, দিশা, কুষ্টিয়া, সৈয়দা শামীমা সুলতানা, সদস্য, এডাব কার্য নির্বাহী পরিষদ।মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য ও মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, এডাব পরিচালক একেএম জসীমউদ্দিন। মতবিনিময় সভায় প্রায় ৬০টি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় বক্তারা সমাজসেবা অধিদপ্তরকে এনজিও সমূহের পরিবার হিসেবে আখ্যায়িত করে নানাবিধ সমস্যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন:সমাজসেবা কর্তৃক এনজিওর প্রকৃত সংজ্ঞা নির্ধারণ;বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমূহের জন্য একক নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা; নিবন্ধন প্রক্রিয়া,গঠনতন্ত্র সংশোধন, কমিটি অনুমোদন, কর্মএলাকা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে হয়রাণি কমিয়ে আনা;এমআরএ ও এনজিওএবি ও অন্যান্য নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ ও রেগুলেটরি অথরিটির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ ও অনুমোদন;বিধি বা নীতিমালা প্রণয়নে এডাবসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময়ের ব্যবস্থা করা; নিরাপত্তাজনিত বিষয় সমূহ যাচাইয়ে এসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই এর স্থলে প্রয়োজনে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের মতামত গ্রহণ করা; ডিজিটালাইজড সেবাপ্রদান। এছাড়াও এমআরএ কর্তৃক নির্বাহী পরিচালকের চাকুরীর বয়সসীমা, কমিটির মেয়াদ, স্বতন্ত্র সদস্য নিয়োগ এর নিয়ম যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে উপস্থিত এনজিওরা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মতপ্রকাশ করেছে।

প্রধানঅতিথি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি নাগরিক এবং উন্নয়নের অনুঘটক হিসেবে এনজিও’র অবদান বহুমাত্রিক। কৃষকের কাছে সঠিক সময়ে ব্যাংক নয় বরং এনজিও প্রয়োজনীয় অর্থ, সহায়তা তুলে দিচ্ছে। সমাজ সেবা অধিদপ্তর একই ছাতার নীচে সকল এনজিওকে আনার ও সকল কাজ অনলাইন ভিত্তিক করার চেষ্টাচলছে। কমিটি’র নির্বাহী পরিচালকের চাকুরীর বয়সসীমা, কমিটির মেয়াদ, স¦তন্ত্র সদস্য নিয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয় এম আর এর আওতাভুক্ত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলোচনা সভায় উত্থাপিত অন্যান্য রেজিস্ট্রেশন অথরিটির সাথে সমাজ সেবার বিভিন্ন নীতিমালার সাংঘর্ষিক বিষয়সমূহ সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ আকারে পাঠানোর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ তিনি এ বিষয়ে প্রযোজনীয় সহযোগিতা করার তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পরিশেষে সবাই মিলে দেশের জন্য কাজ করলে দেশে সমৃদ্ধি আসবেই এ প্রত্যয় নিয়েই সভাটি সমাপ্ত হয়।

Tag :
জনপ্রিয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে অনশন ভঙ্গ ১৮ তম নিবন্ধন প্রত্যাশীরা

নিজস্ব প্রতিবেকঃ

উন্নয়নের অনুঘটক হিসেবে এনজিও’র অবদান বহুমাত্রিক। এডাব আয়োজিত “সরকারি-বেসরকারিসমন্বয় জোরদারকরণ” শীর্ষক মত বিনিময় সভায় আলোকচরা

প্রকাশিত ০৬:৩৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫তারিখে বাংলাদেশে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমূহের সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান এডাব (এসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ) ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজনে “সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় জোরদারকরণ ”শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (নিবন্ধন) জনাব আইয়ুব খান।এডাব ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাজী বেবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন অফিসার জনাব নাসির, জেসমিন সুলতানা পারু, প্রধান নির্বাহী, ইলমা, চট্টগ্রাম; মোঃ রবিউল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক, দিশা, কুষ্টিয়া, সৈয়দা শামীমা সুলতানা, সদস্য, এডাব কার্য নির্বাহী পরিষদ।মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য ও মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, এডাব পরিচালক একেএম জসীমউদ্দিন। মতবিনিময় সভায় প্রায় ৬০টি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় বক্তারা সমাজসেবা অধিদপ্তরকে এনজিও সমূহের পরিবার হিসেবে আখ্যায়িত করে নানাবিধ সমস্যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন:সমাজসেবা কর্তৃক এনজিওর প্রকৃত সংজ্ঞা নির্ধারণ;বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমূহের জন্য একক নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা; নিবন্ধন প্রক্রিয়া,গঠনতন্ত্র সংশোধন, কমিটি অনুমোদন, কর্মএলাকা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে হয়রাণি কমিয়ে আনা;এমআরএ ও এনজিওএবি ও অন্যান্য নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ ও রেগুলেটরি অথরিটির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ ও অনুমোদন;বিধি বা নীতিমালা প্রণয়নে এডাবসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময়ের ব্যবস্থা করা; নিরাপত্তাজনিত বিষয় সমূহ যাচাইয়ে এসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই এর স্থলে প্রয়োজনে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের মতামত গ্রহণ করা; ডিজিটালাইজড সেবাপ্রদান। এছাড়াও এমআরএ কর্তৃক নির্বাহী পরিচালকের চাকুরীর বয়সসীমা, কমিটির মেয়াদ, স্বতন্ত্র সদস্য নিয়োগ এর নিয়ম যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে উপস্থিত এনজিওরা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মতপ্রকাশ করেছে।

প্রধানঅতিথি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি নাগরিক এবং উন্নয়নের অনুঘটক হিসেবে এনজিও’র অবদান বহুমাত্রিক। কৃষকের কাছে সঠিক সময়ে ব্যাংক নয় বরং এনজিও প্রয়োজনীয় অর্থ, সহায়তা তুলে দিচ্ছে। সমাজ সেবা অধিদপ্তর একই ছাতার নীচে সকল এনজিওকে আনার ও সকল কাজ অনলাইন ভিত্তিক করার চেষ্টাচলছে। কমিটি’র নির্বাহী পরিচালকের চাকুরীর বয়সসীমা, কমিটির মেয়াদ, স¦তন্ত্র সদস্য নিয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয় এম আর এর আওতাভুক্ত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলোচনা সভায় উত্থাপিত অন্যান্য রেজিস্ট্রেশন অথরিটির সাথে সমাজ সেবার বিভিন্ন নীতিমালার সাংঘর্ষিক বিষয়সমূহ সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ আকারে পাঠানোর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ তিনি এ বিষয়ে প্রযোজনীয় সহযোগিতা করার তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পরিশেষে সবাই মিলে দেশের জন্য কাজ করলে দেশে সমৃদ্ধি আসবেই এ প্রত্যয় নিয়েই সভাটি সমাপ্ত হয়।