০১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানজিম ইসলাম :

উওরা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের আতঙ্কের নাম নকল নবীশ মানিক ও ঝাড়ুদার মঞ্জু

  • প্রকাশিত ০৬:০৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৬১ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা তেজগাঁও রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্স উওরা সাব রেজিস্ট্রার অফিস যেন মনে হয় ঘুষের স্বর্গরাজ্য পরিণত হয়েছে ক্রেতা বিক্রেতারা দলিল করতে গেলেই ধরা পড়তে হয় সিন্ডিকেটের হাতে এই ৭ সদস্য সিন্ডিকেটের প্রধান হলো নকল নবীশ মানিক ও ঝাড়ুদার মঞ্জু যাদের নেতৃত্বে উত্তরা সাব রেজিস্টার অফিসে কোন দলিল এই টেবিল থেকে ওই টেবিল নরেন না।

তাদের হাতে জিম্বি হয়ে পড়েছে সাব রেজিস্ট্রার, দলিল লেখক, উমেদার, পিয়ন থেকে ক্রেতা বিক্রেতারা এই অফিসে যার মাধ্যমে দলিল করতে যাক না কেনো সেই দলিলের ৫% অতিরিক্ত ঘুষ দিতে হয় এই নকল নবীশ মানিক ও ঝাড়ুদার মঞ্জুদের না দিলে তারা সেই দলিল লেখকের দলিল আটকিয়ে আরো মোটা অংকের ঘুষ দাবী করে থাকে এরকম তথ্য দেন নাম না বলা উওরা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের এক দলিল লেখক

উমেদার রাজু ও নকল নবীশ মোবারক ব্যক্তিগত ঝামেলায় দীর্ঘ ১০ বছর অফিসে অনুপস্থিত ছিল।তারা অফিসে ১০ বছর কোন কাজ করেননি। এমনকি হাজিরাও দেননি অথচ ওই ২ জনে নিকট থেকে মহিউদ্দিন মানিক, তৎকালীন সময়ের সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা ও ঝাড়ুদার মঞ্জু মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে কতৃপক্ষের কোনরূপ অনুমোদন না নিয়েই দীর্ঘ ১০ বছর পর পুনরায় কাজ করার অনুমতি দিয়ে কাজে যোগাদান করিয়েছে এরকম অভিযোগ উঠে আসে নকল নবীশ মহিউদ্দিন মানিক , ও ঝাড়ুদার মঞ্জু বিরুদ্ধে

ঝাড়ুদার মঞ্জু উত্তরা অফিসের জাল দলিলে নিরীক্ষার কাজ করে তৎকালীন সময়ের সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা সাথে শলা পরামর্শ করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিল করিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সেই সময়ের কিছু দলিল নং ৪৬২০ ও ৪৬২২ অতি আশ্চর্য বিষয় হল ঝাড়ুদার মনজুরুল হক মঞ্জুর নিজের ঝাড়ুদার হয়েও তার আপন ভায়রা ছেলে রাজীবকে ঝাড়ুদার পদে চাকরি দিয়েছেন রাজিব কে প্রতিদিন ১০০০ (এক হাজার টাকা) করে দিয়ে থাকেন মঞ্জু অথচ তার দৈনিক হাজিরা হচ্ছে মাত্র ৬০ (ষাট টাকা) জীবন নামে আরেকটি ছেলেকে সরকারি চাকরি হিসেবে রেখেছে তার কাজ হচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতারা দলিল করতে আসলে সেই দলিল ধরে মঞ্জু কে দেওয়া সেই বাবদ জীবনকে দৈনিক ১০০০ (এক হাজার টাকা) হাজিরা দিয়ে থাকে

এইসব দুর্নীতি করে ঝাড়ুদার মঞ্জু গড়ে তুলেছেন উত্তরায় কামাড়পাড়ায় আলিশিয়ান বহুতল ৭ তলা ভবন ও ১টি ৬ তলা ভবন নির্মানধীন চলমান নামে বেনামে গড়েছেন অবৈধ সম্পদ পাহাড় চলেন বিলাশ বহুল গাড়িতে যার মূল্য ৬০ লাখ টাকার উপড়ে
অতি আশ্চর্য বিষয় হলো এই ঝাড়ুদার মঞ্জুর দৈনিক হাজিরা হচ্ছে মাত্র ৬০ টাকা অর্থাৎ (৬০×২৫=১৫০০ শত টাকা) যার মাসিক ইনকাম ১৫০০ শত টাকা সে কি ভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন।

দুদকের চোখে ধুলা দিয়ে এই ভাবেই অবৈধ সম্পদ করে তুলছেন নকল নবীশ মানিক ও ঝাড়ুদার মঞ্জু অথচ ঝাড়ুদার মঞ্জুর নিয়োগ পত্রটি ভূয়া ও জাল কারন মঞ্জুরুলের নিয়োগ অনুমোদনটি নিবন্ধন অধিদপ্তরের কোন আইজি আর প্রদত্ত নয়। সেটা আছে তৎকালীন জেলার রেজিস্ট্রার প্রণব কুমার ভৌমিকের নামে ১১/০৯/১১ ইং তারিখে স্বাক্ষর করা ওই সাক্ষরটি আজও আসল কিনা তাও সন্দেহজনক

দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা অনুসন্ধানে আরও তথ্য উঠে আছে ঝাড়ুধার মঞ্জুর বিরুদ্ধে ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগ সময় তার ছেলে নিষিদ্ধ হওয়া ছাএলীগের কর্মী হিসেবে উওরায় কাজ করতো ৫ই আগষ্ট আওয়ামী লীগ পতনের পর ছাএ জনতা তার বাসায় সেনাবাহিনী সহ অভিযান চালিয়ে দেশীয় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে কিন্তু ভাগ্য ভাল থাকায় তার ছেলে পালিয়ে যায় সেই সময় থেকে ক্ষমতার দাপট আজও তাকে কেউ তার টনক নড়াতে পারেনি।

 

Tag :
জনপ্রিয়

ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক হলে করণীয়

তানজিম ইসলাম :

উওরা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের আতঙ্কের নাম নকল নবীশ মানিক ও ঝাড়ুদার মঞ্জু

প্রকাশিত ০৬:০৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকা তেজগাঁও রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্স উওরা সাব রেজিস্ট্রার অফিস যেন মনে হয় ঘুষের স্বর্গরাজ্য পরিণত হয়েছে ক্রেতা বিক্রেতারা দলিল করতে গেলেই ধরা পড়তে হয় সিন্ডিকেটের হাতে এই ৭ সদস্য সিন্ডিকেটের প্রধান হলো নকল নবীশ মানিক ও ঝাড়ুদার মঞ্জু যাদের নেতৃত্বে উত্তরা সাব রেজিস্টার অফিসে কোন দলিল এই টেবিল থেকে ওই টেবিল নরেন না।

তাদের হাতে জিম্বি হয়ে পড়েছে সাব রেজিস্ট্রার, দলিল লেখক, উমেদার, পিয়ন থেকে ক্রেতা বিক্রেতারা এই অফিসে যার মাধ্যমে দলিল করতে যাক না কেনো সেই দলিলের ৫% অতিরিক্ত ঘুষ দিতে হয় এই নকল নবীশ মানিক ও ঝাড়ুদার মঞ্জুদের না দিলে তারা সেই দলিল লেখকের দলিল আটকিয়ে আরো মোটা অংকের ঘুষ দাবী করে থাকে এরকম তথ্য দেন নাম না বলা উওরা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের এক দলিল লেখক

উমেদার রাজু ও নকল নবীশ মোবারক ব্যক্তিগত ঝামেলায় দীর্ঘ ১০ বছর অফিসে অনুপস্থিত ছিল।তারা অফিসে ১০ বছর কোন কাজ করেননি। এমনকি হাজিরাও দেননি অথচ ওই ২ জনে নিকট থেকে মহিউদ্দিন মানিক, তৎকালীন সময়ের সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা ও ঝাড়ুদার মঞ্জু মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে কতৃপক্ষের কোনরূপ অনুমোদন না নিয়েই দীর্ঘ ১০ বছর পর পুনরায় কাজ করার অনুমতি দিয়ে কাজে যোগাদান করিয়েছে এরকম অভিযোগ উঠে আসে নকল নবীশ মহিউদ্দিন মানিক , ও ঝাড়ুদার মঞ্জু বিরুদ্ধে

ঝাড়ুদার মঞ্জু উত্তরা অফিসের জাল দলিলে নিরীক্ষার কাজ করে তৎকালীন সময়ের সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা সাথে শলা পরামর্শ করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিল করিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সেই সময়ের কিছু দলিল নং ৪৬২০ ও ৪৬২২ অতি আশ্চর্য বিষয় হল ঝাড়ুদার মনজুরুল হক মঞ্জুর নিজের ঝাড়ুদার হয়েও তার আপন ভায়রা ছেলে রাজীবকে ঝাড়ুদার পদে চাকরি দিয়েছেন রাজিব কে প্রতিদিন ১০০০ (এক হাজার টাকা) করে দিয়ে থাকেন মঞ্জু অথচ তার দৈনিক হাজিরা হচ্ছে মাত্র ৬০ (ষাট টাকা) জীবন নামে আরেকটি ছেলেকে সরকারি চাকরি হিসেবে রেখেছে তার কাজ হচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতারা দলিল করতে আসলে সেই দলিল ধরে মঞ্জু কে দেওয়া সেই বাবদ জীবনকে দৈনিক ১০০০ (এক হাজার টাকা) হাজিরা দিয়ে থাকে

এইসব দুর্নীতি করে ঝাড়ুদার মঞ্জু গড়ে তুলেছেন উত্তরায় কামাড়পাড়ায় আলিশিয়ান বহুতল ৭ তলা ভবন ও ১টি ৬ তলা ভবন নির্মানধীন চলমান নামে বেনামে গড়েছেন অবৈধ সম্পদ পাহাড় চলেন বিলাশ বহুল গাড়িতে যার মূল্য ৬০ লাখ টাকার উপড়ে
অতি আশ্চর্য বিষয় হলো এই ঝাড়ুদার মঞ্জুর দৈনিক হাজিরা হচ্ছে মাত্র ৬০ টাকা অর্থাৎ (৬০×২৫=১৫০০ শত টাকা) যার মাসিক ইনকাম ১৫০০ শত টাকা সে কি ভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন।

দুদকের চোখে ধুলা দিয়ে এই ভাবেই অবৈধ সম্পদ করে তুলছেন নকল নবীশ মানিক ও ঝাড়ুদার মঞ্জু অথচ ঝাড়ুদার মঞ্জুর নিয়োগ পত্রটি ভূয়া ও জাল কারন মঞ্জুরুলের নিয়োগ অনুমোদনটি নিবন্ধন অধিদপ্তরের কোন আইজি আর প্রদত্ত নয়। সেটা আছে তৎকালীন জেলার রেজিস্ট্রার প্রণব কুমার ভৌমিকের নামে ১১/০৯/১১ ইং তারিখে স্বাক্ষর করা ওই সাক্ষরটি আজও আসল কিনা তাও সন্দেহজনক

দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা অনুসন্ধানে আরও তথ্য উঠে আছে ঝাড়ুধার মঞ্জুর বিরুদ্ধে ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগ সময় তার ছেলে নিষিদ্ধ হওয়া ছাএলীগের কর্মী হিসেবে উওরায় কাজ করতো ৫ই আগষ্ট আওয়ামী লীগ পতনের পর ছাএ জনতা তার বাসায় সেনাবাহিনী সহ অভিযান চালিয়ে দেশীয় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে কিন্তু ভাগ্য ভাল থাকায় তার ছেলে পালিয়ে যায় সেই সময় থেকে ক্ষমতার দাপট আজও তাকে কেউ তার টনক নড়াতে পারেনি।