০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জামিল জাহাঙ্গীর :

আড়িয়ল বিল বিক্রমপুরের অনন্য প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য

  • প্রকাশিত ০৬:২০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • ১১ বার দেখা হয়েছে

রাজা বিক্রমাদিত্য তাঁর রাজ্যবিস্তার নীতিতে অটল ছিলেন। এখনকার ফরিদপুরের কিয়দাংশ ঢাকার একাংশ নারায়ণগঞ্জ এবং কুমিল্লার খণ্ডাংশ নিয়ে গড়েছেন বিশাল সাম্রাজ্য। পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র তিন বৃহৎ নদীর প্রবাহ আর সঙ্গে আড়িয়াল খাঁ, ধলেশ্বরী, ইছামতী, রজতরেখা, কাজলরেখা মিলিয়ে আটটি নদীর প্রবাহ সমৃদ্ধ এক অভিনব অঞ্চলে পরিণত হয়।

অসংখ্য খাল আর বিলের প্রবাহ এই জনপদকে উর্বর করে তোলে। আরিয়ল বিল এর অন্যতম নিয়ামক। বিলের প্রাকৃতিক পরিসম্পদ আর নান্দনিক দৃশ্যপটের খ্যাতি সারা বিশ্বে সুবিদিত। ১৯৮৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম শ্রীনগর আসি চাচাতো ভাই আবুল বাশারের সঙ্গে। আমার বয়স তখন সিক্স প্লাস। আব্বা আবু ভাইকে বেশ বকাঝকা করে আমাকে লক্ষ্মীপুরে ফেরত পাঠান। সেবার আমি বিল দেখিনি। কিন্তু মাওয়া ঘাট দেখেছি। পদ্মার প্রমত্ত সেই রূপ ভুলতে পারবো না।

দুই বছর পর আব্বাই আমাকে শ্রীনগর নিয়ে আসেন। শ্রীধরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করেন। সেই থেকে ১৯৯৮ সালে সরকারী শ্রীনগর কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করা পর্যন্ত ১১ বছর আমি শ্রীনগরে থেকেছি। ২০০১ সালে আব্বা অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এরপর জীবন ও জীবিকার তাগিদে দেশে বিদেশে অনেক জায়গায় গেলেও বিক্রমপুরের সাথে একটা যোগসূত্র ছিল। যেহেতু আমার স্কুল ও কলেজ শ্রীনগর সেহেতু বন্ধুদের সাথে একটা নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ছিল। আবার অনেক বন্ধুই আব্বার ছাত্র সেকারনে ঢাকায় থাকা বন্ধুদের সঙ্গে প্রায় দেখা হয়েই যায়।

আড়িয়াল বিলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় এই সময়েই। ২০২২ সালে ফেসবুকে ফিরে পাই জাহাঙ্গীর খান স্যারকে। ১৯৯৬ সালে আমার এসএসসির বছর স্যার বারই খালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ২০২৩ সাল থেকে স্যারের সঙ্গে বিক্রমপুর পরিব্রাজক ফোরামের আয়োজনে চার পাঁচটি সফরে সঙ্গী হই। এই ফোরাম আমাকে আবারও আরিয়ল বিলের সাথে সম্পৃক্ত করে। আগেকার বিলের স্মৃতি গন্ধ মুছে এক অন্য জলাশয়ের দেখা পেলাম।

আমাদের সবুজায়ন কার্যক্রমে এই এলাকাকে আগে যুক্ত করিনি। প্রাকৃতিক সবুজকে নতুন করে সবুজ করার কিছু নেই ভেবেই এমন হয়েছে। কিন্তু পদ্মা সেতু আর এক্সপ্রেস হাইওয়ে সব কিছু বদলে দিয়েছে। নগরায়নের নগ্ন প্রতিযোগিতায় সবার আগে প্রভাব পড়েছে প্রকৃতি ও পরিবেশে।

জাহাঙ্গীর খান স্যার স্কুল থেকে অবসর নিয়েছেন শিক্ষক হিসেবে। কিন্তু এখন দুইটি স্কুলের সভাপতি। নতুন উদ্যমে কাজ করছেন প্ররিব্রাজক ফোরাম আর বিক্রমপুর প্রকৃতি জলাশয় রক্ষা আন্দোলনের অগ্রনায়ক হয়ে। এই বছর মুক্তিবৃক্ষ এবং বৃক্ষ নদীকে নিয়ে কে সি ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে চারা রোপণ করেছি।

চলতি মাসের ১৯ তারিখ শনিবার সকালে আমরা মজিদপুর দয়হাটা কে সি ইন্সটিটিউটে চারা রোপণ করে আরিয়ল বিলের দিকে অগ্রসর হই। আলমপুর ব্রিজ পার হয়ে একটা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে সাগরদীঘিসহ বিলের মধ্যভাগে যাই। এই শ্রাবণে টলটলে পানি দেখে লোভ সামলাতে পারিনি শিশু এবং কিশোর বেলার টানে ঝাপ দিয়েছি জলে। আমার দেখাদেখি মাসুদ ভাইও।

কিন্তু পানিতে গন্ধ। বদ্ধজলের ধারায় পচে গেলে যেমন হয় সেই গন্ধ। আমরা সাঁতার কেটেছি ঝাপাঝাপি করেছি কিন্তু দম আটকে যাবার দশা পেরুতে পারিনি কিছুতেই। গায়ে চুলকানির মতো লাগছিল টাই উঠে এসেছি দ্রুত। ঢাকায় ফিরে এসে দেখি সারাদেহ লাল হয়ে আছে। জায়গায় জায়গায় চাক্কা চাক্কা জমাট রক্তের দাগ। যেন কেউ ইচ্ছেমত পিটিয়ে গেছে। মাসুদ ভাইয়েরও একই অবস্থা। খবর নিলাম এই জীবন্ত জলাশয়ের এই পরিণতির কি করে হল।

যা জানলাম, তা বেশ ভয় জাগানিয়া। উজানের দখল দূষণের কথা নাই বললাম, পদ্মার সাথে বিলের সংযোগ বাগড়া এবং কাইসশাখালী দুইটি পয়েন্টে স্লুইচগেট ফিক্সড হয়ে গেছে বছর দুই আগে। বিলের প্রবাহ পদ্মা কিংবা পদ্মা সংযুক্ত কোন খালে ঢুকতে পারে না। এজন্য পানি আটকে পড়েছে। এখন এখানে শুধু ইছামতী আর ধলেশ্বরী নদীর প্রবাহিত পানির একাংশ। বদ্ধজলের প্রবাহ প্রভাব ফেলছে প্রকৃতি ও জীবনে।

স্যারসহ যখন আমরা কে সি ইন্সটিটিউটে চারা রোপণ করছিলাম তখন ভাবিইনি এমন এক পরিস্থিতি আমাদের সামনে আছে। চলমান সরকারের বেশ কজন উপদেষ্টা বিল পরিদর্শন করেছেন। স্যার তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু বিলের প্রাকৃতিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার কোন উদ্যোগ এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি।

এই বিল মরে গেলে ঢাকার আশে পাশে কোন প্রাকৃতিক জলাশয় অবশিষ্ট থাকবে না। আট নদীর ঐতিহ্য সম্বলিত বিক্রমপুরের আসল ঐশ্বর্য বিলীন হয়ে যাবে। এই শ্রাবণে বিলের মর্মান্তিক মরণদশা আমাকে চরম আহত করেছে। এই বিল কি সেই বিল যেখানে বিমানবন্দর ঘোষণা হয়েও গণদাবীর কারনে বাতিল হয়েছিল। তাহলে রক্ষার নামে বিলে যক্ষ্মার দিকে ঠেলে দেওয়াই কি মানুষের উদ্দেশ্য ছিল।

বিল এখনো মরেনি, মরে যাবার আগে লাইফ সাপোর্টে আছে। দুইটাই পথ আছে এক, লাইফ সাপোর্ট খুলে চিরতরে মেরে ফেলা দুই গেটগুলো খুলে পদ্মা ইছামতী আর ধলেশ্বরী নদীর প্রবাহ ঠিক করা। এখনো সময় আছে পরে হাহুতাস করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

একসময় প্রধান শিক্ষকের বরাবর আবেদন করতাম। বিভিন্ন বিষয়ে। নিজের ছুটির জন্য, বন্ধু সহপাঠীদের অনুরোধে। এখন আমার হেড স্যার বিক্রমপুরের প্রকৃতি রক্ষা আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন। তাঁর কাছে আবেদন করছি। গন্ধ ছড়ানো পানি থেকে আড়িয়ল বিলের মুক্তির কোন বিকল্প নেই আপনার সবল এবং প্রশিক্ষিত নেতৃত্ব এই বিলে প্রাকৃতিক প্রবাহে সফল ভূমিকা রাখতে পারে৷ এমন একটা বিশ্বাস এই মূহুর্তে একান্ত কাম্য।

Tag :

শিক্ষা নগরী ময়মনসিংহে মানসম্পন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি

জামিল জাহাঙ্গীর :

আড়িয়ল বিল বিক্রমপুরের অনন্য প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য

প্রকাশিত ০৬:২০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

রাজা বিক্রমাদিত্য তাঁর রাজ্যবিস্তার নীতিতে অটল ছিলেন। এখনকার ফরিদপুরের কিয়দাংশ ঢাকার একাংশ নারায়ণগঞ্জ এবং কুমিল্লার খণ্ডাংশ নিয়ে গড়েছেন বিশাল সাম্রাজ্য। পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র তিন বৃহৎ নদীর প্রবাহ আর সঙ্গে আড়িয়াল খাঁ, ধলেশ্বরী, ইছামতী, রজতরেখা, কাজলরেখা মিলিয়ে আটটি নদীর প্রবাহ সমৃদ্ধ এক অভিনব অঞ্চলে পরিণত হয়।

অসংখ্য খাল আর বিলের প্রবাহ এই জনপদকে উর্বর করে তোলে। আরিয়ল বিল এর অন্যতম নিয়ামক। বিলের প্রাকৃতিক পরিসম্পদ আর নান্দনিক দৃশ্যপটের খ্যাতি সারা বিশ্বে সুবিদিত। ১৯৮৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম শ্রীনগর আসি চাচাতো ভাই আবুল বাশারের সঙ্গে। আমার বয়স তখন সিক্স প্লাস। আব্বা আবু ভাইকে বেশ বকাঝকা করে আমাকে লক্ষ্মীপুরে ফেরত পাঠান। সেবার আমি বিল দেখিনি। কিন্তু মাওয়া ঘাট দেখেছি। পদ্মার প্রমত্ত সেই রূপ ভুলতে পারবো না।

দুই বছর পর আব্বাই আমাকে শ্রীনগর নিয়ে আসেন। শ্রীধরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করেন। সেই থেকে ১৯৯৮ সালে সরকারী শ্রীনগর কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করা পর্যন্ত ১১ বছর আমি শ্রীনগরে থেকেছি। ২০০১ সালে আব্বা অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এরপর জীবন ও জীবিকার তাগিদে দেশে বিদেশে অনেক জায়গায় গেলেও বিক্রমপুরের সাথে একটা যোগসূত্র ছিল। যেহেতু আমার স্কুল ও কলেজ শ্রীনগর সেহেতু বন্ধুদের সাথে একটা নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ছিল। আবার অনেক বন্ধুই আব্বার ছাত্র সেকারনে ঢাকায় থাকা বন্ধুদের সঙ্গে প্রায় দেখা হয়েই যায়।

আড়িয়াল বিলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় এই সময়েই। ২০২২ সালে ফেসবুকে ফিরে পাই জাহাঙ্গীর খান স্যারকে। ১৯৯৬ সালে আমার এসএসসির বছর স্যার বারই খালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ২০২৩ সাল থেকে স্যারের সঙ্গে বিক্রমপুর পরিব্রাজক ফোরামের আয়োজনে চার পাঁচটি সফরে সঙ্গী হই। এই ফোরাম আমাকে আবারও আরিয়ল বিলের সাথে সম্পৃক্ত করে। আগেকার বিলের স্মৃতি গন্ধ মুছে এক অন্য জলাশয়ের দেখা পেলাম।

আমাদের সবুজায়ন কার্যক্রমে এই এলাকাকে আগে যুক্ত করিনি। প্রাকৃতিক সবুজকে নতুন করে সবুজ করার কিছু নেই ভেবেই এমন হয়েছে। কিন্তু পদ্মা সেতু আর এক্সপ্রেস হাইওয়ে সব কিছু বদলে দিয়েছে। নগরায়নের নগ্ন প্রতিযোগিতায় সবার আগে প্রভাব পড়েছে প্রকৃতি ও পরিবেশে।

জাহাঙ্গীর খান স্যার স্কুল থেকে অবসর নিয়েছেন শিক্ষক হিসেবে। কিন্তু এখন দুইটি স্কুলের সভাপতি। নতুন উদ্যমে কাজ করছেন প্ররিব্রাজক ফোরাম আর বিক্রমপুর প্রকৃতি জলাশয় রক্ষা আন্দোলনের অগ্রনায়ক হয়ে। এই বছর মুক্তিবৃক্ষ এবং বৃক্ষ নদীকে নিয়ে কে সি ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে চারা রোপণ করেছি।

চলতি মাসের ১৯ তারিখ শনিবার সকালে আমরা মজিদপুর দয়হাটা কে সি ইন্সটিটিউটে চারা রোপণ করে আরিয়ল বিলের দিকে অগ্রসর হই। আলমপুর ব্রিজ পার হয়ে একটা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে সাগরদীঘিসহ বিলের মধ্যভাগে যাই। এই শ্রাবণে টলটলে পানি দেখে লোভ সামলাতে পারিনি শিশু এবং কিশোর বেলার টানে ঝাপ দিয়েছি জলে। আমার দেখাদেখি মাসুদ ভাইও।

কিন্তু পানিতে গন্ধ। বদ্ধজলের ধারায় পচে গেলে যেমন হয় সেই গন্ধ। আমরা সাঁতার কেটেছি ঝাপাঝাপি করেছি কিন্তু দম আটকে যাবার দশা পেরুতে পারিনি কিছুতেই। গায়ে চুলকানির মতো লাগছিল টাই উঠে এসেছি দ্রুত। ঢাকায় ফিরে এসে দেখি সারাদেহ লাল হয়ে আছে। জায়গায় জায়গায় চাক্কা চাক্কা জমাট রক্তের দাগ। যেন কেউ ইচ্ছেমত পিটিয়ে গেছে। মাসুদ ভাইয়েরও একই অবস্থা। খবর নিলাম এই জীবন্ত জলাশয়ের এই পরিণতির কি করে হল।

যা জানলাম, তা বেশ ভয় জাগানিয়া। উজানের দখল দূষণের কথা নাই বললাম, পদ্মার সাথে বিলের সংযোগ বাগড়া এবং কাইসশাখালী দুইটি পয়েন্টে স্লুইচগেট ফিক্সড হয়ে গেছে বছর দুই আগে। বিলের প্রবাহ পদ্মা কিংবা পদ্মা সংযুক্ত কোন খালে ঢুকতে পারে না। এজন্য পানি আটকে পড়েছে। এখন এখানে শুধু ইছামতী আর ধলেশ্বরী নদীর প্রবাহিত পানির একাংশ। বদ্ধজলের প্রবাহ প্রভাব ফেলছে প্রকৃতি ও জীবনে।

স্যারসহ যখন আমরা কে সি ইন্সটিটিউটে চারা রোপণ করছিলাম তখন ভাবিইনি এমন এক পরিস্থিতি আমাদের সামনে আছে। চলমান সরকারের বেশ কজন উপদেষ্টা বিল পরিদর্শন করেছেন। স্যার তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু বিলের প্রাকৃতিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার কোন উদ্যোগ এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি।

এই বিল মরে গেলে ঢাকার আশে পাশে কোন প্রাকৃতিক জলাশয় অবশিষ্ট থাকবে না। আট নদীর ঐতিহ্য সম্বলিত বিক্রমপুরের আসল ঐশ্বর্য বিলীন হয়ে যাবে। এই শ্রাবণে বিলের মর্মান্তিক মরণদশা আমাকে চরম আহত করেছে। এই বিল কি সেই বিল যেখানে বিমানবন্দর ঘোষণা হয়েও গণদাবীর কারনে বাতিল হয়েছিল। তাহলে রক্ষার নামে বিলে যক্ষ্মার দিকে ঠেলে দেওয়াই কি মানুষের উদ্দেশ্য ছিল।

বিল এখনো মরেনি, মরে যাবার আগে লাইফ সাপোর্টে আছে। দুইটাই পথ আছে এক, লাইফ সাপোর্ট খুলে চিরতরে মেরে ফেলা দুই গেটগুলো খুলে পদ্মা ইছামতী আর ধলেশ্বরী নদীর প্রবাহ ঠিক করা। এখনো সময় আছে পরে হাহুতাস করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

একসময় প্রধান শিক্ষকের বরাবর আবেদন করতাম। বিভিন্ন বিষয়ে। নিজের ছুটির জন্য, বন্ধু সহপাঠীদের অনুরোধে। এখন আমার হেড স্যার বিক্রমপুরের প্রকৃতি রক্ষা আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন। তাঁর কাছে আবেদন করছি। গন্ধ ছড়ানো পানি থেকে আড়িয়ল বিলের মুক্তির কোন বিকল্প নেই আপনার সবল এবং প্রশিক্ষিত নেতৃত্ব এই বিলে প্রাকৃতিক প্রবাহে সফল ভূমিকা রাখতে পারে৷ এমন একটা বিশ্বাস এই মূহুর্তে একান্ত কাম্য।