০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ

আদালত থেকে দু’বার ডিগ্রী পাবার পরও আ’লীগের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীর কবল থেকে জমির দখল না পাবার অভিযোগ

  • প্রকাশিত ০১:২৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৪০ বার দেখা হয়েছে
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার এক শিক্ষক  গত ১৪ বছর ধরে আওয়ামীলীগের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীর কবল থেকে জমি ফেরত পাচ্ছেন না বলে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন শিক মো. রফিক। তিনি উপজেলার উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বরিল্লা গ্রামের আবদুল মন্নাছের পুত্র ও একই ইউনিয়নের রায়পাশা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক হিসাবে কর্মরত। সংবাদ সম্মেলনে শিক রফিক বলেন, ২০০৭ সালে আমরা চার ভাই মিলে পৃথক দলিল মূলে ১.৮০ একর আবাদি জমি ক্রয় করি। জোয়ালভাঙা গ্রামের রিয়াসত আলী আমাদের নিকট জমি বিক্রি করেছিলেন। রিয়াসত আলী জমি বিক্রি করে পাশের আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে গিয়ে বসতি গড়ে তুলেন। জমি ক্রয় করার পর তিন বছর জমিতে আবাদ করে ভোগ দখল করেন। ২০১০ সালে পুরো জমি রিয়াসত আলীর পুত্র আবদুল কাশেম জোরপূর্বক জমি দখল করে নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। তিনি সরাসরি রাজনীতি করেন না সমর্থক করতে এবং তার ভাইয়েরা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তৎকালীন সময়ে জমি দখল করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের প্রভাবে কোনো বিচার পাননি। রফিক আরও জানান, রিয়াসত আলী ঈশ্বরগঞ্জ চৌকি আদালতে তাঁর চারটি সাফ কবলা দলিল পন্ড করার দাবি জানিয়ে মোকদ্দমা দায়ের করেন। সেই মোকদ্দমা বিচার শেষে আদালত তাঁর (রফিক) পে ডিগ্রী (রায়) দেন। ভুয়া তথ্য দিয়ে মামলা দায়ের করার জন্য মামলার বাদী আবুল কাশেমকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করেন বিজ্ঞ আদালত। এই আদালতে হেরে কাশেম ময়মনসিংহের দ্বিতীয় সাবজজ আদালতে আপিল করেন। সেই আপিল শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১৮ নভেম্বর আদালত তাঁর পে দেন। দুটি আদালত থেকে পর পর দুটি ডিগ্রী পাবার পরও আবদুল কাশেম আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মদদে তাঁর ১.৮০ একর ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখেন। শিক রফিক আবেগাপ্লুত হয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পতিত সরকারের দানব জাতীয় নেতারা আমার মতো অনেক নিরীহ মানুষের প্রভুত তি করেছে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে দেখুন শত শত পরিবারের কান্না শুনতে পারবেন। এখন অন্তবর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইন-আদালতের প্রতি মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। আমার ওপর ১৪ বছর যাবৎ যে অন্যায় হয়েছে তার প্রতিকার চাই। জোয়াল ভাঙা গ্রামে গিয়ে শিকের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবুল কাশেম (৫৭) বলেন, আমার বাবা-মাকে ভুল বুঝিয়ে জমি কিনে নিয়েছে। তাই তিনি বাবার জমি ছেলে হিসেবে ভোগ দখল করছেন।
Tag :
জনপ্রিয়

ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক হলে করণীয়

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ

আদালত থেকে দু’বার ডিগ্রী পাবার পরও আ’লীগের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীর কবল থেকে জমির দখল না পাবার অভিযোগ

প্রকাশিত ০১:২৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার এক শিক্ষক  গত ১৪ বছর ধরে আওয়ামীলীগের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীর কবল থেকে জমি ফেরত পাচ্ছেন না বলে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন শিক মো. রফিক। তিনি উপজেলার উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বরিল্লা গ্রামের আবদুল মন্নাছের পুত্র ও একই ইউনিয়নের রায়পাশা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক হিসাবে কর্মরত। সংবাদ সম্মেলনে শিক রফিক বলেন, ২০০৭ সালে আমরা চার ভাই মিলে পৃথক দলিল মূলে ১.৮০ একর আবাদি জমি ক্রয় করি। জোয়ালভাঙা গ্রামের রিয়াসত আলী আমাদের নিকট জমি বিক্রি করেছিলেন। রিয়াসত আলী জমি বিক্রি করে পাশের আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে গিয়ে বসতি গড়ে তুলেন। জমি ক্রয় করার পর তিন বছর জমিতে আবাদ করে ভোগ দখল করেন। ২০১০ সালে পুরো জমি রিয়াসত আলীর পুত্র আবদুল কাশেম জোরপূর্বক জমি দখল করে নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। তিনি সরাসরি রাজনীতি করেন না সমর্থক করতে এবং তার ভাইয়েরা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তৎকালীন সময়ে জমি দখল করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের প্রভাবে কোনো বিচার পাননি। রফিক আরও জানান, রিয়াসত আলী ঈশ্বরগঞ্জ চৌকি আদালতে তাঁর চারটি সাফ কবলা দলিল পন্ড করার দাবি জানিয়ে মোকদ্দমা দায়ের করেন। সেই মোকদ্দমা বিচার শেষে আদালত তাঁর (রফিক) পে ডিগ্রী (রায়) দেন। ভুয়া তথ্য দিয়ে মামলা দায়ের করার জন্য মামলার বাদী আবুল কাশেমকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করেন বিজ্ঞ আদালত। এই আদালতে হেরে কাশেম ময়মনসিংহের দ্বিতীয় সাবজজ আদালতে আপিল করেন। সেই আপিল শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১৮ নভেম্বর আদালত তাঁর পে দেন। দুটি আদালত থেকে পর পর দুটি ডিগ্রী পাবার পরও আবদুল কাশেম আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মদদে তাঁর ১.৮০ একর ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখেন। শিক রফিক আবেগাপ্লুত হয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পতিত সরকারের দানব জাতীয় নেতারা আমার মতো অনেক নিরীহ মানুষের প্রভুত তি করেছে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে দেখুন শত শত পরিবারের কান্না শুনতে পারবেন। এখন অন্তবর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইন-আদালতের প্রতি মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। আমার ওপর ১৪ বছর যাবৎ যে অন্যায় হয়েছে তার প্রতিকার চাই। জোয়াল ভাঙা গ্রামে গিয়ে শিকের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবুল কাশেম (৫৭) বলেন, আমার বাবা-মাকে ভুল বুঝিয়ে জমি কিনে নিয়েছে। তাই তিনি বাবার জমি ছেলে হিসেবে ভোগ দখল করছেন।