০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগের সীমানা বহাল চান বিএনপি নেতারা, ৩০০ আসনের সীমানা সংক্রান্ত খসড়া প্রকাশের দাবি

  • প্রকাশিত ০৫:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ৬ বার দেখা হয়েছে

ডেইলি স্বদেশবিচিত্রা প্রতিবেদক : ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দ্রুত ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানাসংক্রান্ত খসড়া প্রকাশের দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা।

গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে তারা অষ্টম সংসদ নির্বাচনের সময়কার সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবি জানান। বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, তারা দলীয়ভাবে এ বৈঠকে আসেননি।

সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে কুমিল্লার সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ১৯৮৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত যেভাবে নির্বাচনি আসন ছিল, আপনারা সেভাবে পুনর্বহাল করেন- এটা আমাদের সর্বজনীন দাবি।

তিনি বলেন, আমরা কমিশনের কাছে খসড়া তালিকা প্রকাশের জন্য আবেদন করেছি। নির্বাচন কমিশন আমাদের জানিয়েছে, তারা কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের আশা পূরণ হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা বৈঠক করতে আসিনি। আমরা বিভিন্ন আসন থেকে প্রতিনিধিরা এসেছি। আমাদের সবার দাবি হচ্ছে, ২০০১ সালের সীমানা অনুযায়ী যাতে সীমানা নির্ধারণ করা হয়।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ২০০১ সালে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, যেভাবে আমরা আসনভিত্তিক নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিলাম, এবারও ঠিক সেভাবে এলাকাভিত্তিক আসনগুলো যেন পুনর্বিন্যাস করা হয়। এ ব্যাপারে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার, সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও আশ্বস্ত করেছেন, অনৈতিকভাবে আসন বণ্টন হবে না, জনগণের চাহিদা মোতাবেক আসন বিন্যাস হবে। বিএনপির এ নেতা মুন্সিগঞ্জের প্রতিনিধি হিসেবে ইসির সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী আসন পুনর্বিন্যাস করলে এ নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।

এর আগে হোমনা ও মেঘনা উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-২ আসনটি আগের মতো রাখার দাবিতে নির্বাচন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে একদল লোক। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নিলখী ইউনিয়ন পরিষদ যুবদলের আহ্বায়ক রাসেল মাহমুদ জানান, ১৯৫৪ সাল থেকে হোমনা-মেঘনা এক আসনেই ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের তৎকালীন নির্বাচন কমিশন এটি আলাদা করে। ২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত সেভাবেই ভোট হয়।

২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে কুমিল্লা-২ আসনটি ফের আগের মতো করা হয়। অর্থাৎ হোমনা-মেঘনাবাসী পুনরায় এক আসনে চলে আসে। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই আবার ২০০৮ সালের অবস্থায় ফিরে যেতে চায়। তাই তা যাতে না করা হয়, সেজন্য আমরা এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। কুমিল্লা-২ আসনে হোমনা-মেঘনা বহাল রাখার আবেদন করেছি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সীমানা সংক্রান্ত সংশোধন অধ্যাদেশ হাতে পাওয়ার পর কাজও শুরু করেছে।

ইতোমধ্যে ৭৫টি আসনের ছয় শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে। সংসদীয় এলাকার জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ উপাত্ত না পাওয়ায় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইসি। সবশেষ ১৯ জুন কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সময়ের অভাবে এবং কিছু উপাত্ত এখনো বাকি থাকায় আলোচনাটা আজ আমরা এগিয়ে নিতে পারিনি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ সংসদীয় আসনের বিষয়টা সম্পন্ন হবে।
ডেইলি স্বদেশবিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

প্রদীপ দের মৃত্যু জামালপুরে এখনো কাটেনি শোকের ছায়া

আগের সীমানা বহাল চান বিএনপি নেতারা, ৩০০ আসনের সীমানা সংক্রান্ত খসড়া প্রকাশের দাবি

প্রকাশিত ০৫:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

ডেইলি স্বদেশবিচিত্রা প্রতিবেদক : ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দ্রুত ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানাসংক্রান্ত খসড়া প্রকাশের দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা।

গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে তারা অষ্টম সংসদ নির্বাচনের সময়কার সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবি জানান। বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, তারা দলীয়ভাবে এ বৈঠকে আসেননি।

সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে কুমিল্লার সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ১৯৮৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত যেভাবে নির্বাচনি আসন ছিল, আপনারা সেভাবে পুনর্বহাল করেন- এটা আমাদের সর্বজনীন দাবি।

তিনি বলেন, আমরা কমিশনের কাছে খসড়া তালিকা প্রকাশের জন্য আবেদন করেছি। নির্বাচন কমিশন আমাদের জানিয়েছে, তারা কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের আশা পূরণ হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা বৈঠক করতে আসিনি। আমরা বিভিন্ন আসন থেকে প্রতিনিধিরা এসেছি। আমাদের সবার দাবি হচ্ছে, ২০০১ সালের সীমানা অনুযায়ী যাতে সীমানা নির্ধারণ করা হয়।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ২০০১ সালে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, যেভাবে আমরা আসনভিত্তিক নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিলাম, এবারও ঠিক সেভাবে এলাকাভিত্তিক আসনগুলো যেন পুনর্বিন্যাস করা হয়। এ ব্যাপারে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার, সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও আশ্বস্ত করেছেন, অনৈতিকভাবে আসন বণ্টন হবে না, জনগণের চাহিদা মোতাবেক আসন বিন্যাস হবে। বিএনপির এ নেতা মুন্সিগঞ্জের প্রতিনিধি হিসেবে ইসির সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী আসন পুনর্বিন্যাস করলে এ নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।

এর আগে হোমনা ও মেঘনা উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-২ আসনটি আগের মতো রাখার দাবিতে নির্বাচন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে একদল লোক। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নিলখী ইউনিয়ন পরিষদ যুবদলের আহ্বায়ক রাসেল মাহমুদ জানান, ১৯৫৪ সাল থেকে হোমনা-মেঘনা এক আসনেই ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের তৎকালীন নির্বাচন কমিশন এটি আলাদা করে। ২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত সেভাবেই ভোট হয়।

২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে কুমিল্লা-২ আসনটি ফের আগের মতো করা হয়। অর্থাৎ হোমনা-মেঘনাবাসী পুনরায় এক আসনে চলে আসে। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই আবার ২০০৮ সালের অবস্থায় ফিরে যেতে চায়। তাই তা যাতে না করা হয়, সেজন্য আমরা এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। কুমিল্লা-২ আসনে হোমনা-মেঘনা বহাল রাখার আবেদন করেছি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সীমানা সংক্রান্ত সংশোধন অধ্যাদেশ হাতে পাওয়ার পর কাজও শুরু করেছে।

ইতোমধ্যে ৭৫টি আসনের ছয় শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে। সংসদীয় এলাকার জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ উপাত্ত না পাওয়ায় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইসি। সবশেষ ১৯ জুন কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সময়ের অভাবে এবং কিছু উপাত্ত এখনো বাকি থাকায় আলোচনাটা আজ আমরা এগিয়ে নিতে পারিনি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ সংসদীয় আসনের বিষয়টা সম্পন্ন হবে।
ডেইলি স্বদেশবিচিত্রা/এআর