#
কাজল কালো দুটি চোখের পাতায় কালো ভ্রমরের মতো ডানা মিলতে থাকে। আমি এক পলকে তাকিয়ে থাকলাম। কপালটার মাঝখানে একটা ছোট্ট কালো টিপ পড়লে দারুন মানাত।
তবুও এক পলকে কপালটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। ওই কপালের মধ্যে কি লেখা ছিল এই লেখার মধ্যে আমার আসতে হলো।
কবিতা আমার এভাবে চেয়ে থাকতে দেখে
এক পলকে তাকিয়ে রইল আমার দিকে।
আমিও কবিতার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে রইলাম। আমার এভাবে তাকিয়ে থাকতে গেছে ওর কালো ঠোঁট দুটি থরথর করে কাঁপছে। হয়তো কিছু বলতে চায়। হয়তো আমি যা ভাবছি কবিতা ও তা ভাবছে। কিন্তু আমরা কিছুই বলতে পারছি না। ফেসবুকে আমি অনেক ট্যালেন্ট এবং সুন্দরী মেয়েদের দেখেছি কিন্তু একজনের শখ পাইনি।
কবিতার মধ্যে যেমন সততা আছে তেমনি একজন সৎ মানুষ। সকলের ভালো চায়। বাবা মায়ের খুব আদরের মেয়ে। কবিতা ও বড় তার ছোট আরও তিনটি বোন আছে।
কবিতা ঢাকায় থাকলেও সাংবাদিকতা লেখালেখি সংগঠন এবং মানব সেবা করে বেড়ায় । অসম্ভব সুন্দরী গায়ের রং ফর্সা, দীগল কালো ঘন চুল যা দখিনা বাতাসে ঢেউ খেলে যায়। মনের মধ্যে নেই কোন অহংকার মানুষের সুখ দেখলে তার সুখ মনে হয়। মানুষের দুঃখের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। এমনি কবিতা আমাকে একটি সারপ্রাইজ দিলো।
এই সারপ্রাইজের কথা শুধুমাত্র কবিতাই জানে
অবশ্য আর কারো জানার দরকার নেই। আমি বলতেও চাই না। কিন্তু আমার অনেক ভালো লেগেছে। এর কারণ একজন মানুষ আমার কিভাবে ভাল হবে তাই নিয়ে তার ভাবনা টা বেশি। আমার জন্য সে এত ভাবে? সে ভাবনার মধ্যে স্যার সারপ্রাইজ আমাকে অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে রাখে কবিতা হৃদয়ের মধ্যে। কবিতার গুনের কথা সারাদিন বললেও শেষ হবে না। পৃথিবীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতার হৃদয়।
তাই আমি ভাবছি তাকে ক্লাসের মধ্যে বাউন্ডারি দিয়ে রাখব কেউ যেন তাকে স্পর্শ করতে না পারে। আমি তার চোখে তাকিয়ে থেকে থেকে দেখব আর দেখব যে দেখা কখনো শেষ হবে না।
প্রাণ ভরে শুধু ভালবাসবো। কিন্তু সত্যিকার অর্থে কবিতা আমাকে কি ভালবাসবে অনেক শিক্ষার মধ্যে অনেক সার্টিফিকেটের মধ্যে আমার ঠাই হবে কি সেখানে? নাকি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার তরী কবিতার মত বলে উঠবে
ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই ছোট সে তরী
সোনার ধানে গিয়াছে ভরি।
বলবে হয়তো বা আমার বলতে নাও পারে
তবে আমি ধীরে ধীরে তাকে আমার বুকের মধ্যে লালন করতে করতে সত্য এবং পবিত্রময় চিন্তা চেতনার মধ্যে ভালোবেসে ফেলছি।
কবিতার দেহ দরকার নেই
শরীরের কিছু দরকার নেই
শুধু চির সুন্দর মনটা দরকার।
যে মন দিয়ে দুজনে সবুজ ঘাসের উপরে বসে
পূর্ণিমা রাতের মধুচন্দ্রিমায় ভিজে যাব
চোখের পাতায়। কবিতার নরম হাতের ছোঁয়ায়
মনে হবে আমার আল্লায় অনেকদিন যেন বাঁচিয়ে রাখে কবিতা আর আমাকে। যার শিক্ষার অহংকার নেই, রূপের অহংকার নেই, অর্থের অহংকার নেই এই মানুষটিই হলো কবিতা
তাকে ভালো না বেসে বেচে থেকে আমার কি লাভ হবে। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন আমাকে ভালবাসতে হলে মানুষকে ভালোবাসো। তাই আমি কবিতাকে ভালোবাসি। আর কবিতার মধ্যে ভালবাসতে বাসতে আমার সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসি।
জীবনে এর চেয়ে আর বেশি ভালোবাসা যায় না।
কবিতা কখনো আমাকে বন্ধু বলে, কখনো কবি বলে, কখনো মনের মধ্যে আইফেল টাওয়ার বানায় আমাকে। আবার কখনো মিশরের নীলনদের সাথে তুলনা করে আমাকে।
কবিতাকে দেখতে দেখতে আমার ৩৬৫ দিন পার হয়ে গেছে। এখন ১৫০ দিন ছুই ছুই করছে।
এখন কবিতার কাছে গেলে তার গালে 10 থেকে 12 টা দিন গুনে গুনে সময় পার করে দেই। বলতে পারিনা হৃদয়ের গোপন কথা। তবুও কবিতা সেদিন একটা আনন্দের মধ্যে এসে আমার হাত ছুঁয়েছিল। আমি অনেকটা দিন সেই হাতে ময়লা পড়তে দেইনি। গোসল করি নাই হাত ভিজে যাবে। কবিতার হাতের স্পর্শ মুছে যাবে বলে সহজে পানি ছুয়ে দেখিনি।
আজ কবিতার সারপ্রাইজ এ আনন্দে আত্মহারা হয়ে তার হাতের অনামিকা আঙ্গুলটি ছুঁয়েছিলাম। নরম হাতের স্পর্শে আমি অনুভব করলাম এজন্য আমার অলৌকিক অদৃশ্য দেবী এসে ছুয়ে দিলো আমাকে। কি দারুন উষ্ণতায় আমি ভিজে উঠি। আমি কল্পনায় কবিতার শরীরের অংশী মালার শব্দে ডুব দিয়েছিলাম।
আমি তাড়াতাড়ি এসএমএসে মেসেঞ্জারে চলে গেলাম ইংরেজি বর্ণমালায় লিখতেন বাধ্য হলাম
আই লাভ ইউ তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি।
সারাটা জীবন ভালোবাসবো। তোমার কষ্ট বেদনা দুঃখের মধ্যে আমি ছাতা হয়ে তোমার মাথার ছায়া হয়ে থাকবো। কোটি কোটি দুঃখের মধ্যে আমি তোমার পাশে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকবো।
তোমার সুখের সময় আমি অদৃশ্য হয়ে যাব।
তুমি এশিয়া থেকে আফ্রিকা ইউরোপ থেকে আমেরিকা কোথাও খুঁজে পাবে না তোমার সুখের সময়। যখন তোমার দুঃসময় থাকবে তোমার দুর্দিন থাকবে তোমার দুঃখ থাকবে তোমার কষ্টটা বেদনায় সাঁতার কাটবে এরকম প্রতিটি মুহূর্তে আমি তোমার জন্য তোমার পাশে তোমার শরীরের অক্টোপাসের মত জড়িয়ে থাকবো।
তোমার চোখের নোনা জল তোমার দেয়া রুমালি গিয়ে মুছে দেব। তোমার কপালে হাত বুলাবো।
তোমার অসুখের সেবা করব। পূর্ণিমা রাতে তোমার চুলের খোপায় গন্ধরাজ ফুল গুজে দেব।
তোমার চোখের দুটি পাতায় কাজল পরাবো।
তোমার হাতের সাথে হাত রেখে তোমার দুঃখের সঙ্গী হব। আহারে পৃথিবীতে চিৎকার করে বলে যাব কবিতা তোমাকে ভালোবাসি।
আই লাভ ইউ কবিতা।
আই লাভ ইউ।
#
১৬ মে ২০২৫ ভোর ৫ টা ঢাকা
০২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
আই লাভ ইউ তৌহিদুল ইসলাম কনক
Tag :
জনপ্রিয়