বৃষ্টি পড়ে।
একটানা।
থামছে না, শহর যেন কাঁচের জলে গলে যাচ্ছে—
রাস্তা নয়, আয়নার ভিতর হাঁটে মানুষ।
মা-বোনেরা ঠোঁটে কাদা মেখে চলতে চায়,
শিশুর চোখে অন্ধকারের ছাদ চুঁইয়ে পড়ে জল।
বৃদ্ধেরা দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে নিঃশ্বাস গোনে,
কোনো পথ নেই, কোনো দিক নেই—
হাহাকার, নিঃশব্দ অন্ধ কোলাহল।
শ্রমিকের হাত আজ কাজ খোঁজে না,
দিনমজুর বসে থাকে, ভাত নয়, স্বপ্ন চায়।
মাঠ ডুবে গেছে—
চুপচাপ ফসলের স্বপ্ন, ডুবে থাকা সূর্য,
আকাশ গুম,
হাট ফাঁকা,
নৌকা চলে, গাড়ি নয়।
কুঁড়েঘর—নদীর শরীরে ভাসমান স্মৃতি।
বুকের ব্যথা,
জলের মতো,
অথৈ—
শুধুই অথৈ।
যোগাযোগ নেই, শব্দ নেই,
আকাশ শুধু এক পাথর,
সেই পাথরের ওপারে—
একটা মুখ বলে—
“বৃষ্টি থামো।”
হে বৃষ্টি, একটু বিরতি দাও—
সূর্য আসুক, শুকাক মুখের জমিন।
আবার হাতে উঠুক হাল,
মাঠে উঠুক স্বপ্নের ধান।
মানুষ ফিরুক নিজের কাছে,
কোনো ঠিকানায় নয়,
নির্ভয়ের ছায়ায়।
৯ জুলাই ২০২৫
বরুড়া, কুমিল্লা