স্বাস্থ শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য গ্লোবাল বিজনেস এন্ড সিএসসআর অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এ ভূষিত হলেন দেশ সেরা ইউনানী-আয়ুর্বেদীয় ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠান হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ এর সিনিয়র পরিচালক (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন। এশিয়ান জার্নালিস্ট হিউম্যান রাইটস এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ও মিডিয়া ফোরাম অব বাংলাদেশ এই অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করে। শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন এর পক্ষে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন, সাপ্তাহিক খোঁজখবর এর নির্বাহী সম্পাদক তকীউদ্দিন মুহাম্মদ আকরামুল্লাহ। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস এর প্রেসিডেন্ট আব্দুল হাই সরকার, বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া ও কিংবদন্তী নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন। অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন স্বাস্থ্য বিষয়ক বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন, যা স্বাস্থ্য শিক্ষার প্রসারে খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি দেশের ইউনানী মেডিকেল কলেজ সমুহের শিক্ষা পদ্ধতির মান উন্নয়ন এবং রাষ্ট্র কর্তৃক ইউনানী মেডিকেল কলেজ সমুহের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও স্বীকৃতি অর্জনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (ইউনানী) এর অধ্যক্ষ থাকাকালীন তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিইউএমএস ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে চিকিৎসক নিবন্ধন প্রাপ্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসক নিবন্ধন পাওয়ায় ইউনানী ডিগ্রীপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা এখন সরকারি সকল সেক্টরে চাকুরির সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ভূমিকা রাখতে পারবেন। যা স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রের এক যুগান্তকারী মাইলফলক হয়ে থাকবে।
অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন এর মানবিক ব্যাক্তিত্ব হিসেবে সুখ্যাতি রয়েছে। তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়াসহীন মানুষকে আবাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। দারিদ্র্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য নিয়মিত সহযোগিতা করে থাকেন। অনেক অসহায় পরিবারের পুরো মাসের বাজার তিনি মাসের শুরুতেই তাদের ঘরে পাঠিয়ে দেন। অর্থের অভাবে কারও চিকিৎসার ব্যাত্যয়ের সংবাদ পেলেই তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এছাড়াও তিনি স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে অনেক সামাজিক কাজ বাস্তবায়ন করেন।
অধ্যাপক পলিন আধুনিক হামদর্দের রূপকার, হামর্দ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতাওয়াল্লী, কিংবদন্তী উদ্যোক্তা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া’র সহধর্মিণী। তিনি হামদর্দের সিনিয়র পরিচালক এর দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ব হতেই নেপথ্যে থেকে হামর্দ ও এর সেবার মান উন্নয়নে স্বামী হামদর্দ এমডি ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া’র মাধ্যমে স্বীয় মেধা-মনন ও অভিজ্ঞতার আলোকে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়েছেন। তার সুন্দর সুন্দর পরিকল্পনায় হামদর্দের পন্যসমূহ অধিক উপকারী ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে করোনাকালীন হামর্দের পূর্ব থেকেই চালু থাকা তিনটি ওষুধ করোনার উপসর্গ মোকাবেলায় কাজ করার থিউরি তিনিই দিয়েছেন। যার ধরুন সেই সময়ে বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক উপকৃত হয়েছেন একই সাথে হামর্দ হয়ে উঠে আরও জনপ্রিয়। তিনি হামদর্দের সিনিয়র পরিচালক এর দায়িত্ব নিয়েছেন মূলত হামদর্দের কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে। হামদর্দ ব্যবসায়ীক উন্নতি নিশ্চিত রেখেও এর কর্মীদের সুযোগ-সুবিদা বৃদ্ধির ফর্মুলা অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন দিয়েছেন। এতে করে তিনি হামদর্দ পরিবারের একজন আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছেন। যার ধরুন দীর্ঘদিন থেকেই তার হামদর্দের পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হওয়ার দাবী চলে আসছে হামদর্দের সর্মস্তরের কর্মীদের থেকে। কিন্তু তিনি বরাবর ই এই দাবী উপেক্ষা করে গেছেন। অবশেষে তীব্র দাবীর মুখে হামদর্দের সিনিয়র পরিচালক উন্নয়ন ও পরিকল্পনা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় হামদর্দের সর্বস্তরের কর্মীদের মধ্যে নতুন স্বপ্নের বিজ বুনেছে। তাদের বিশ্বাস অধ্যাপক কামরুন নাহার হারুন এর হামদর্দের পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে হামদর্দের উন্নয়ন আরও তরান্বিত হবে। এ প্রসঙ্গে এ প্রতিবেদককে হামদর্দের এক কর্মী বলেন, ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া’র ছোঁয়ায় ধ্ংষ প্রায় হামদর্দ আজ দেশ সেরা একটি প্রতিষ্ঠান। তার সাথে অধ্যাপক কামরুন নাহার হারুন এর ছোঁয়া যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে হামদর্দের এ উন্নয়ন যাত্রা হামদর্কে নিয়ে যাবে বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকায়।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন এর স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানবিক ও সামাজিক কাজে নিবেদিতরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।