১০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অক্ষয় তৃতীয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি

  • প্রকাশিত ১০:৩২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭ বার দেখা হয়েছে

হিন্দু ধর্ম অনুসারে অক্ষয় তৃতীয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তিথি। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিকে অক্ষয় তৃতীয়া বলে। এই দিনের সঙ্গে পুরাণের নানা কাহিনি জড়িত আছে। নিম্নে তুলে ধরা হলো।
১/অক্ষর তৃতীয়ায় ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম ধরার বুকে অবতীর্ণ হন।
২/অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই সত্য যুগের উৎপত্তি হয়।
৩/অক্ষয় তৃতীয়ায় শ্রীকৃষ্ণের বন্ধু সুদামা দ্বারকায় তার সাথে দেখা করেন এবং ক্ষুদের নাড়ু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে খাওয়ান।ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার এই প্রিয় বন্ধুকে সুখ ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ করেন।
৪/সুর্য্যদেব দ্রোপদিকে অক্ষয়পাত্র দান করেছিলেন।
৫/অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই বেদব্যাস মহাভারত লেখা শুরু করেন।
৬/অক্ষয় তৃতীয়াতেই ভগীরথের প্রার্থনায় স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন গঙ্গা।
৭/পুরীতে জগন্নাথের রথযাত্রার জন্য রথ তৈরি শুরু হয় অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই।
৮।এদিনই কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেছিলেন। এ দিনেই কুবেরের লক্ষীলাভ হওয়ার বৈভব লক্ষীরপূজা করা হয়৷
৯/ এদিনই দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব ঘটে।
১০/এই তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে বস্ত্রদান করে সম্মান বাচিয়ে ছিলেন।
১১/কেদার, বদরী,গঙ্গোত্রী,যমুনত্রীর যে মন্দির ছয় মাস বন্ধ থাকে এইদিনেই তার দ্বার উদঘাটন হয়।দ্বার খুললেই দেখা যায় সেই অক্ষয়দীপ যা ছয় মাস আগে জ্বালিয়ে আসা হয়েছিল।
১২/এই তিথিতে চন্দন যাত্রা শুরু হয়।
১৩/এই তিথিতে যবের সৃষ্টি হয়েছিল।

অক্ষয় তৃতীয়া তিথির আরো মাহাত্ম্য, উপাখ্যান বিভিন্ন শাস্ত্রীয় গ্রন্থে রয়েছে যাহা সল্প পরিসারে লেখা সম্ভব নয় ##
অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে কি করা উচিৎ
*নিজ নিজ ইষ্টদেবতার শরণাপন্ন হউন।
*হিংসা জনিত কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকুন।
*নিরামিষ খাদ্য দ্রব্য গ্রহণ করুন।
*সৃষ্টিকর্তার অলৌকিক মহিমা স্মরণ করুন।
*এ দিন পূজা,জপ,ধ্যান, দান,অপরের মনে অানন্দ দেয়ার মতো কাজ করা উচিৎ।
*এ দিন ভালো কাজ করা উচিৎ।
*কখনো যেন কটু কথা না বের হয় মুখ থেকে।
*এ দিন যথাসম্ভব মৌন থাকা জরুরি।
*কোন কারনে যেন কারো ক্ষতি না করি।
*এ দিন হরিনাম সংকীর্তন এবং সদ্ -গ্রন্থাদি পাঠ করা উচিৎ।
*প্রভাতে গঙ্গাস্নন করা উচিৎ।
*ভগবানকে ভোগ নিবেদন করিব নিজের সাধ্যানুযায়ী।
পরিশেষে বলতে চাই,এক কথায় এই দিনটি পূণ্য কর্মের মাধ্যমে সবাই অতিবাহিত করিব।

সবাই কে জানাই অক্ষয় তৃতীয়ার শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।
জয় রাধাগোবিন্দ 

Tag :
জনপ্রিয়

বাঁশখালীতে কৃষকের মাঝে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ

অক্ষয় তৃতীয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি

প্রকাশিত ১০:৩২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

হিন্দু ধর্ম অনুসারে অক্ষয় তৃতীয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তিথি। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিকে অক্ষয় তৃতীয়া বলে। এই দিনের সঙ্গে পুরাণের নানা কাহিনি জড়িত আছে। নিম্নে তুলে ধরা হলো।
১/অক্ষর তৃতীয়ায় ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম ধরার বুকে অবতীর্ণ হন।
২/অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই সত্য যুগের উৎপত্তি হয়।
৩/অক্ষয় তৃতীয়ায় শ্রীকৃষ্ণের বন্ধু সুদামা দ্বারকায় তার সাথে দেখা করেন এবং ক্ষুদের নাড়ু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে খাওয়ান।ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার এই প্রিয় বন্ধুকে সুখ ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ করেন।
৪/সুর্য্যদেব দ্রোপদিকে অক্ষয়পাত্র দান করেছিলেন।
৫/অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই বেদব্যাস মহাভারত লেখা শুরু করেন।
৬/অক্ষয় তৃতীয়াতেই ভগীরথের প্রার্থনায় স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন গঙ্গা।
৭/পুরীতে জগন্নাথের রথযাত্রার জন্য রথ তৈরি শুরু হয় অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই।
৮।এদিনই কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেছিলেন। এ দিনেই কুবেরের লক্ষীলাভ হওয়ার বৈভব লক্ষীরপূজা করা হয়৷
৯/ এদিনই দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব ঘটে।
১০/এই তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে বস্ত্রদান করে সম্মান বাচিয়ে ছিলেন।
১১/কেদার, বদরী,গঙ্গোত্রী,যমুনত্রীর যে মন্দির ছয় মাস বন্ধ থাকে এইদিনেই তার দ্বার উদঘাটন হয়।দ্বার খুললেই দেখা যায় সেই অক্ষয়দীপ যা ছয় মাস আগে জ্বালিয়ে আসা হয়েছিল।
১২/এই তিথিতে চন্দন যাত্রা শুরু হয়।
১৩/এই তিথিতে যবের সৃষ্টি হয়েছিল।

অক্ষয় তৃতীয়া তিথির আরো মাহাত্ম্য, উপাখ্যান বিভিন্ন শাস্ত্রীয় গ্রন্থে রয়েছে যাহা সল্প পরিসারে লেখা সম্ভব নয় ##
অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে কি করা উচিৎ
*নিজ নিজ ইষ্টদেবতার শরণাপন্ন হউন।
*হিংসা জনিত কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকুন।
*নিরামিষ খাদ্য দ্রব্য গ্রহণ করুন।
*সৃষ্টিকর্তার অলৌকিক মহিমা স্মরণ করুন।
*এ দিন পূজা,জপ,ধ্যান, দান,অপরের মনে অানন্দ দেয়ার মতো কাজ করা উচিৎ।
*এ দিন ভালো কাজ করা উচিৎ।
*কখনো যেন কটু কথা না বের হয় মুখ থেকে।
*এ দিন যথাসম্ভব মৌন থাকা জরুরি।
*কোন কারনে যেন কারো ক্ষতি না করি।
*এ দিন হরিনাম সংকীর্তন এবং সদ্ -গ্রন্থাদি পাঠ করা উচিৎ।
*প্রভাতে গঙ্গাস্নন করা উচিৎ।
*ভগবানকে ভোগ নিবেদন করিব নিজের সাধ্যানুযায়ী।
পরিশেষে বলতে চাই,এক কথায় এই দিনটি পূণ্য কর্মের মাধ্যমে সবাই অতিবাহিত করিব।

সবাই কে জানাই অক্ষয় তৃতীয়ার শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।
জয় রাধাগোবিন্দ