০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এম. এইচ আকাশ মাহমুদ মোল্লা :

স্বৈরাচার পতনে আর অপেক্ষা নয় ইতিহাস এবার দ্রুতই বদলাবে : প্রধান উপদেষ্টা

  • প্রকাশিত ০৩:৩৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৮৩৭ বার দেখা হয়েছে

দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে এবং অতীতের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও স্বৈরশাসনের অভিশাপ থেকে চূড়ান্ত মুক্তির লক্ষ্যে এক সাহসী ও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা। সম্প্রতি এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “স্বৈরাচার পতনের জন্য যেন জাতিকে আবার ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়, সেই কাজটাই আমি এবং আমাদের দল এখন করছি। এবার ইতিহাসকে আর থামতে দেব না।”প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা ১৯৯০ এ একবার স্বৈরাচার পতনের সাক্ষী হয়েছিলাম। কিন্তু তারপরে এই দেশ আবার বারবার ক্ষমতার দখলদারিত্ব, জনমতের অবমূল্যায়ন ও প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারের মধ্যে পড়ে গেছে। এ থেকেই প্রমাণ হয়, কেবল একটি পতনই যথেষ্ট নয়,প্রয়োজন একটি কার্যকর ও টেকসই গণতান্ত্রিক কাঠামো, যা জনগণের কণ্ঠস্বরকে প্রতিষ্ঠা করবে এবং যে কোনো স্বৈরাচারী প্রবণতাকে জন্মেই দমন করবে।”তিনি স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেন, এই সময়টা দ্বিতীয় স্বাধীনতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।স্বাধীনতা যেখানে একবার এসেছিল যুদ্ধের মাধ্যমে, এখন তা নিশ্চিত করতে হবে নৈতিকতা, গণচেতনা ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন যে সময় পার করছি, তা ইতিহাসের দ্বিতীয় টার্নিং পয়েন্ট। এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা কী আবার অপেক্ষা করব,নাকি সামনে এগিয়ে যাব।”তিনি জানান, স্বৈরাচারবিরোধী কর্মসূচি শুধুমাত্র বক্তব্য বা প্রতীকী প্রতিবাদে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আগামী সপ্তাহগুলোতে দেশজুড়ে গণসংলাপ, সচেতনতা কার্যক্রম, নাগরিক প্ল্যাটফর্ম গঠন, রাজনৈতিক সংস্কার প্রস্তাবনা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা চালু হবে।

“জনগণকে নিয়ে এই পরিবর্তন আনতে চাই।কোনো গোপন চুক্তি বা ক্ষমতার নাটক নয়, এবার সব কিছু খোলামেলা এবং জনঅংশগ্রহণমূলক হবে,”তিনি যোগ করেন।এই ঘোষণার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম, নাগরিক সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্ররা এই ঘোষণাকে ‘সাহসী যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত’হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অনেকেই বলছেন, এটা কেবল কথার ফানুস নয়, বাস্তব পরিবর্তনের ডাক। হ্যাশট্যাগ এইবার_আর_না, স্বৈরাচার_প্রতিরোধ, গণতন্ত্র_নিশ্চিত করো ছড়িয়ে পড়ছে ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) ও ইউটিউবজুড়ে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচক হতে পারে। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক ঘোষণা নয়, বরং একটি দর্শনের প্রতিফলন,যেখানে জনগণই হবে শক্তির উৎস, এবং শাসনব্যবস্থায় কারও একচ্ছত্র আধিপত্য থাকবে না।তিনি তাঁর বক্তব্যের শেষাংশে বলেন, “আমাদের স্বপ্ন শুধু একটি শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন নয়,আমরা চাই একটি নতুন বাংলাদেশ, যেখানে প্রতিটি নাগরিক সত্যিকার অর্থে স্বাধীন। এই যাত্রা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। ইতিহাস এখন লিখতে হবে, অপেক্ষা নয়।”এই ঘোষণা যদি বাস্তবায়নের পথে এগোয়, তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটি হবে একটি মাইলফলক মুহূর্ত। অতীতে বহু আন্দোলন হয়েছে, বহু আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এবার সাধারণ মানুষের সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপের আশ্বাস এটিকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।

Tag :
জনপ্রিয়

ডা. নুরুল আমিন তামিজী ছিলেন গরীবের বন্ধু এবং শোষিতদের পক্ষে লড়াকু এক বীরযোদ্ধা

এম. এইচ আকাশ মাহমুদ মোল্লা :

স্বৈরাচার পতনে আর অপেক্ষা নয় ইতিহাস এবার দ্রুতই বদলাবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত ০৩:৩৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে এবং অতীতের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও স্বৈরশাসনের অভিশাপ থেকে চূড়ান্ত মুক্তির লক্ষ্যে এক সাহসী ও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা। সম্প্রতি এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “স্বৈরাচার পতনের জন্য যেন জাতিকে আবার ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়, সেই কাজটাই আমি এবং আমাদের দল এখন করছি। এবার ইতিহাসকে আর থামতে দেব না।”প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা ১৯৯০ এ একবার স্বৈরাচার পতনের সাক্ষী হয়েছিলাম। কিন্তু তারপরে এই দেশ আবার বারবার ক্ষমতার দখলদারিত্ব, জনমতের অবমূল্যায়ন ও প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারের মধ্যে পড়ে গেছে। এ থেকেই প্রমাণ হয়, কেবল একটি পতনই যথেষ্ট নয়,প্রয়োজন একটি কার্যকর ও টেকসই গণতান্ত্রিক কাঠামো, যা জনগণের কণ্ঠস্বরকে প্রতিষ্ঠা করবে এবং যে কোনো স্বৈরাচারী প্রবণতাকে জন্মেই দমন করবে।”তিনি স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেন, এই সময়টা দ্বিতীয় স্বাধীনতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।স্বাধীনতা যেখানে একবার এসেছিল যুদ্ধের মাধ্যমে, এখন তা নিশ্চিত করতে হবে নৈতিকতা, গণচেতনা ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন যে সময় পার করছি, তা ইতিহাসের দ্বিতীয় টার্নিং পয়েন্ট। এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা কী আবার অপেক্ষা করব,নাকি সামনে এগিয়ে যাব।”তিনি জানান, স্বৈরাচারবিরোধী কর্মসূচি শুধুমাত্র বক্তব্য বা প্রতীকী প্রতিবাদে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আগামী সপ্তাহগুলোতে দেশজুড়ে গণসংলাপ, সচেতনতা কার্যক্রম, নাগরিক প্ল্যাটফর্ম গঠন, রাজনৈতিক সংস্কার প্রস্তাবনা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা চালু হবে।

“জনগণকে নিয়ে এই পরিবর্তন আনতে চাই।কোনো গোপন চুক্তি বা ক্ষমতার নাটক নয়, এবার সব কিছু খোলামেলা এবং জনঅংশগ্রহণমূলক হবে,”তিনি যোগ করেন।এই ঘোষণার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম, নাগরিক সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্ররা এই ঘোষণাকে ‘সাহসী যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত’হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অনেকেই বলছেন, এটা কেবল কথার ফানুস নয়, বাস্তব পরিবর্তনের ডাক। হ্যাশট্যাগ এইবার_আর_না, স্বৈরাচার_প্রতিরোধ, গণতন্ত্র_নিশ্চিত করো ছড়িয়ে পড়ছে ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) ও ইউটিউবজুড়ে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচক হতে পারে। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক ঘোষণা নয়, বরং একটি দর্শনের প্রতিফলন,যেখানে জনগণই হবে শক্তির উৎস, এবং শাসনব্যবস্থায় কারও একচ্ছত্র আধিপত্য থাকবে না।তিনি তাঁর বক্তব্যের শেষাংশে বলেন, “আমাদের স্বপ্ন শুধু একটি শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন নয়,আমরা চাই একটি নতুন বাংলাদেশ, যেখানে প্রতিটি নাগরিক সত্যিকার অর্থে স্বাধীন। এই যাত্রা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। ইতিহাস এখন লিখতে হবে, অপেক্ষা নয়।”এই ঘোষণা যদি বাস্তবায়নের পথে এগোয়, তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটি হবে একটি মাইলফলক মুহূর্ত। অতীতে বহু আন্দোলন হয়েছে, বহু আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এবার সাধারণ মানুষের সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপের আশ্বাস এটিকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।